ফাইল ছবি।
এখনও রাজি নন রাহুল গাঁধী। তাই কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন আরও কিছু দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেডের নেতারা। রাহুলের নিমরাজির কারণ না বলে তাঁরা অবশ্য যুক্তি দিচ্ছেন, সামনেই পশ্চিমবঙ্গ-কেরল-তামিলনাড়ু-অসম-পুদুচেরিতে বিধানসভা ভোট। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন হলে দলের নেতা-কর্মীদের সম্পূর্ণ নজর বিধানসভা ভোটের প্রচার থেকে দলীয় নির্বাচনের দিকে ঘুরে যাবে। তাতে এই রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসেরই ক্ষতি হবে।
শুক্রবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকেই কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কংগ্রেসের ২৩ জন ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা গত অগস্টে সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে দলের হাল ফেরানোর দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের প্রধান দাবি ছিল, সভাপতি পদ থেকে শুরু করে ওয়ার্কিং কমিটি, নির্বাচন কমিটি-সহ সমস্ত সাংগঠনিক পদে নির্বাচন। গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মার মতো ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতারা এখনও নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁরা ওয়ার্কিং কমিটিতে সেই প্রসঙ্গ তুলবেন বলেই আঁচ করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে রাহুলের আস্থাভাজনেরা সভাপতি পদে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইলে ওয়ার্কিং কমিটিতে ঝড় উঠতে পারে। গাঁধী পরিবারের আস্থাভাজনেরা মনে করছেন, আরও একটি সম্ভাবনা রয়েছে। তা হল, গাঁধী পরিবারের আস্থাভাজন কাউকে সভাপতি পদে বসানো। সুশীল কুমার শিন্দের মতো মহারাষ্ট্রের প্রবীণ দলিত নেতার নাম উঠে আসছে আলোচনায়। সে ক্ষেত্রে কার্যকরী সভাপতি হিসেবে অন্য কোনও ‘সক্রিয়’ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে তিনিও গাঁধী পরিবারের আস্থাভাজনই হবেন।
এ ক্ষেত্রে রাহুল আপাতত সভাপতি না হলেও গাঁধী পরিবারের হাতেই কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কার্যকরী সভাপতি পদে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কংগ্রেসের নেতারা। প্রিয়ঙ্কা এখন উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে। এ দিনই তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ছবি-সহ ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ১০ লক্ষ পরিবারে এই ক্যালেন্ডার বিলি হবে। গত ডিসেম্বরে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বিক্ষুব্ধ নেতাদের বৈঠকে বসাতে প্রিয়ঙ্কা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। তার আগে রাজস্থানে সচিন পাইলটের বিদ্রোহের পরেও সমস্যা মেটাতে প্রিয়ঙ্কা কথা বলেছিলেন সচিনের সঙ্গে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা হলেও যে কোনও পরিস্থিতিতে ভোটাভুটি এড়ানোরই চেষ্টা হবে। ওয়ার্কিং কমিটিতে সর্বসম্মত প্রস্তাবের মাধ্যমে সভাপতি বা কার্যকরী সভাপতি নিয়োগের সিদ্ধান্তও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy