সম্পূর্ণ ভস্মীভূত ‘পদ্মাবতী’-র সেট। ছবি: সংগৃহীত।
চড়কাণ্ডের পর এ বার আগুনের রোষে ‘পদ্মাবতী’। বাধা যেন কাটতেই চাইছে না। এ বার ফিল্মের সেট তছনছ করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিল জনা কুড়ি অজ্ঞাতপরিচয়।
কোলাপুর পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত ১টা নাগাদ ওই সেটে ঢুকে তাণ্ডব চালায় জনা কুড়ি লোক। সেটের কস্টিউম-প্রপস নষ্ট করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এমনকী, সেটের বাইরে পার্ক করা একাধিক গাড়িতেও পাথর ছুড়ে তাতে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার সময় সেটে কোনও নিরাপত্তীরক্ষী ছিলেন না। তবে পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভংসালী-সহ ফিল্ম ইউনিটের সকলেই সুরক্ষিত বলে জানিয়েছেন প্রযোজক সংস্থার আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় এ দিন দুপুর পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন
কট্টরপন্থীদের ফতোয়া উপেক্ষা করেই সঙ্গীত সফর অসমিয়া গায়িকার
এ দিনের ঘটনার পর রাতেও ফিল্মের সেটে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দীপক কেশরকর। তবে সে পদক্ষেপ আরও আগে কেন করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও কেশরকরের দাবি, প্রযোজকেরাই সে রকম কোনও অনুরোধ জানাননি।
রানি পদ্মিনীর চরিত্রে দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
গত ৬ মার্চ থেকে কোলাপুরে ‘পদ্মাবতী’র শুটিং চলছে। প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে ফিল্মের সেট। চলতি মাসের ২০ তারিখে শুটিং শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগে জয়পুরের জয়গড় দুর্গে শুটিং চলাকালীন নিগৃহীত হন ফিল্মের পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভংসালী। তখনও সেটে ভাঙচুর চালানো হয়। চড় মারা হয় ভংসালীকে। ইতিহাসকে ‘বিকৃত’ করার অভিযোগে ওই নিগৃহ বলে দাবি ছিল ‘রাজপুত কর্ণী সেনা’ নামে এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যেদের। এর পর সেখান থেকে ফিল্মের সেট সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোলাপুরে। তবে সেখানেও রোষের হাত থেকে রেহাই পেল না ‘পদ্মাবতী’।
শূন্যে ভাসছে কল, একটানা দিব্যি জল পড়ছে, কিন্তু কী ভাবে?
চিতোরের রানি পদ্মিনীর জীবনী নির্ভর এই ফিল্মের মূল চরিত্রে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। ফিল্মে রণবীর সিংহ অভিনীত আলাউদ্দিন খিলজির চরিত্রের সঙ্গে ‘পদ্মাবতী’র ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত দেখানো হয়েছে বলে গুজব ওঠে। আর তাতেই বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, আলাউদ্দিন খিলজির হাত থেকে বাঁচাতেই জহর ব্রত করেছিলেন রানি পদ্মিনী। তবে কী ভাবে ফিল্মে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকতে পারে? যদিও এ নিয়ে ‘রাজপুত কর্ণী সেনা’-র দাবি ছিল ভংসালী লিখিত ভাবে তাদের আশ্বাস দিয়েছেন, ফিল্মের ওই দৃশ্য ছেঁটে ফেলা হবে। ভংসালীর পাল্টা দাবি ছিল, এ ধরনের কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যই ফিল্মে নেই। রাজ্যের সংস্কৃতিমন্ত্রী বিনোদ তাওড়ে এ দিন বলেন, “হামলা নয়, আলোচনার মাধ্যমেই বিতর্ক মেটানো উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy