দিল্লিতে মিছিল বিরোধী সাংসদদের। ছবি: পিটিআই।
সংসদ ভবনের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে ১৪৩ জন বিরোধী সাংসদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে এ বার দিল্লির রাজপথে ‘ইন্ডিয়া’। বৃহস্পতিবার পুরনো সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের সাংসদেরা। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব-সহ বিভিন্ন বিরোধী সাংসদ ছিলেন ওই মিছিলে।
কংগ্রেস সভাপতি খড়্গে জানিয়েছেন, সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে শুক্রবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসবেন বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। তাঁর কথায়, ‘‘এই সাসপেনশন সংসদীয় রীতি পরিপন্থী এবং বেআইনি।’’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে খড়্গের মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী চান না সংসদের অধিবেশন সুষ্ঠু ভাবে চলুক। তাই উনি সংসদ অধিবেশন চালাকালীন আমদাবাদে, বারাণসীতে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন, কিন্তু এক বারও সংসদে এসে কিছু বলছেন না।’’
উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নকল করার ঘটনা নিয়েও বৃহস্পতিবার সরব হয়েছেন খড়্গে। তাঁর অভিযোগ, ধনখড় এই বিতর্কে সুকৌশলে তাঁর ‘জাঠ’ পরিচয় প্রকাশ্যে এনে জাতপাতের ভাবাবেগ উস্কে দিতে চাইছেন। মঙ্গলবার সংসদ ভবনের মকরদ্বারের সামনে বিরোধী সাংসদদের অবস্থানে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ধনখড়কে যে ভঙ্গিতে কথা বলেছেন, শরীরী ভাষার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজস্থানের একটি জাঠ সংগঠন ‘জাতিগত অবমাননার’ অভিযোগ তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি কল্যাণকাণ্ডে ‘জাতিগত মাত্রা’ দিতে সক্রিয় হতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লষকদের একাংশের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy