Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Man-Eater Wolves of Bahraich

ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু বহরাইচের মানুষখেকো একটি নেকড়ে, বনবিভাগের নিশানায় দলের বাকি পাঁচ

বৃহস্পতিবার সকালে বন দফতরের নজরদারি ড্রোন চারটি নেকড়ের একটি দলকে ক্যামেরাবন্দি করে। বনকর্তাদের দাবি, দলে রয়েছে মোট ছ’টি নেকড়ে। তার মধ্যে একটি ধরা পড়েছে।

বহরাইচে খাঁচাবন্দি নেকড়ে।

বহরাইচে খাঁচাবন্দি নেকড়ে। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪০
Share: Save:

বহরাইচের মানুষখেকো নেকড়ের দলের একটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়়ে খাঁচাবন্দি করল উত্তরপ্রদেশ বন দফতর। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নেকড়েটিকে ধরা হয় বলে বনকর্তারা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, গত দু’মাসে মোট ছ’টি নেকড়ে মিলে এক মহিলা এবং সাতটি শিশুকে শিকার করেছে। ২২টি দলে ভাগ হয়ে বাকি পাঁচটি নেকড়ের সন্ধান করছেন বনকর্মী এবং বন্যপ্রাণ বিশারদেরা।

নেপাল সীমান্ত লাগোয়া বহরাইচ জেলার মাহসি ব্লকের সিসিয়া পঞ্চায়েত এবং আশপাশের অঞ্চলগুলিতেই গত দু’মাসে মূলত ঘটছে নেকড়ে হানার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রের খবর ছিল, ওই দলে মোট তিনটি নেকড়ে রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে বন দফতরের নজরদারি ড্রোন চারটি নেকড়ের একটি দলকে ক্যামেরাবন্দি করে।

বনকর্তাদের দাবি, দলে রয়েছে ছ’টি নেকড়ে। মানুষখেকোর সন্ধানে বনকর্মীদের পাশাপাশি দক্ষ শিকারি এবং বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ নিয়ে বিশেষ ‘টিম’ গড়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। রয়েছে ড্রোন, নাইট ভিশন্‌স-সহ নানা আধুনিক সরঞ্জাম। এমনকী, লুকিয়ে থাকা নেকড়ের সন্ধানে ব্যবহা করা হচ্ছে ‘থার্মাল ইমেজ়ার’।

যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বনমন্ত্রী অরুণকুমার সাক্সেনা বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জানিয়েছিলেন, নেকড়ের দলকে কব্জায় আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বাহারআইচ জেলার নেপাল সীমান্তবর্তী কাটার্নিয়াঘাট ব্যাঘ্রপ্রকল্পের বাফার জ়োনে নেকড়ের উপস্থিতি রয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, ওই নেকড়েগুলি সেখান থেকেই লোকালয়ে এসে ডেরা বেঁধেছে।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘ন্যাশনাল চিতা অ্যাকশন প্ল্যান’ (জাতীয় চিতা পুনঃস্থাপন কর্মসূচি)-এর প্রাক্তন প্রধান তথা বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ যাদবেন্দ্রনাথ ঝালা অবশ্য বাহারআইচের ঘটনার জন্য নেকড়ের দল দায়ী কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নেকড়েরা সাধারণ ভাবে লাজুক প্রাণী। মানুষকে আক্রমণের নজির খুবই কম।’’

অতীতে কাটার্নিয়াঘাট লাগোয়া জঙ্গলে বাঘ এবং চিতাবাঘের হামলায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনার অনেক নজির আছে বলেও জানান তিনি। ১৯৭২ সালের ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ধূসর নেকড়ে ১ নম্বর তফসিল অর্থাৎ সর্বোচ্চ গুরুত্বে সংরক্ষিত প্রজাতি। সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতে তাদের আনুমানিক সংখ্যা তিন হাজারেরও কম। ১৯৯৬ সালে উত্তরপ্রদেশেরই প্রতাপগড় জেলায় ‘মানুষখেকো’ সন্দেহে কয়েকটি নেকড়েকে গুলি করে মারা হয়েছিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Man-eater Wolves Wolf Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE