প্রয়াত ইশহাক আলি খান পান্না। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ইশহাক আলি খান পান্নার দেহ উদ্ধার হল মেঘালয় সীমান্তে। পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রধান ইশহাক গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক অস্থিরতার জেরে গোপনে ভারতে আশ্রয় নিতে আসছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এই নেতা। সে সময়ই তাঁর মৃত্যু হয়। মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তের ডাউকি পাহাড় টপকানোর সময় আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের দাবি। যদিও একটি সূত্রের মতে, ইশহাককে খুন করা হতে পারে।
পিরোজপুরের কাউখালিতে ইশহাকের বাড়ি। তাঁর আত্মীয় জসিমউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকে আমরা ইশহাকের শেষ সময়ের সঙ্গী কয়েক জনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন, গত সোমবার মেঘালয়ের উমকিয়ং থানা-পুলিশ দেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। দেহ এখন পুলিশের হেফাজতে মর্গে আছে। আমরা দ্রুত ভারত থেকে দেহ আনার চেষ্টা করছি।’’ ইশহাকের দাদা জাফর আলি খান বুধবার রাতে জানান, ভাইয়ের দেহ ফিরে পেতে শিলংয়ে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
পারিবারিক সূত্রের খবর, গত ৫ অগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ইশহাক রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপন করে ছিলেন। এর পর তিনি ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে সিলেটে যান। শনিবার ভোর ৪টের দিকে তিনি কয়েক জন সঙ্গী-সহ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল এলাকা দিয়ে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি এলাকায় যান। ভোরে ওই এলাকার একটি পাহাড়ে ওঠেন। পাহাড় পার হয়ে তাঁদের গন্তব্যে যাওয়ার কথা ছিল। সে সময়ই শ্বাসকষ্ট এবং হৃদ্রোগের শিকার হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy