সুপ্রিম কোর্টের ২০১৪ সালের রায় মেনে মহারাষ্ট্র সরকারকে এই সংরক্ষণ কার্যকর করতেই হবে। — ফাইল ছবি।
এ বার থেকে মহারাষ্ট্রে সাব-ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রূপান্তরকামীদের জন্য সংরক্ষণ রাখতেই হবে। অন্তত একটি পদ। জানিয়ে দিল মহারাষ্ট্র অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (এমএটি)। এমএটির চেয়ারপার্সন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের ২০১৪ সালের রায় মেনে মহারাষ্ট্র সরকারকে এই সংরক্ষণ কার্যকর করতেই হবে। শীর্ষ আদালতের ওই রায়ে বলা হয়েছিল, সব রাজ্যকে সরকারি চাকরিতে রূপান্তরকামীদের জন্য সংরক্ষণ রাখতে হবে।
বিনায়ক কাশিদ নামে এক রূপান্তরকামীর পিটিশনের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে এমএটি। ২০২২ সালের জুনে ৮০০ সাব ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছিল মহারাষ্ট্র পাবলিক সার্ভিস কমিশন। ওই পদের জন্য মহিলা হিসাবে আবেদন করেন বিনায়ক। যদিও জন্মসূত্রে ছিলেন পুরুষ। পরে লিঙ্গ পরিবর্তন করেন। চাকরিতে আবেদন করে তিনি সংরক্ষণের আর্জিও জানান।
গত অগস্টে মহারাষ্ট্র সরকারকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি পদে রূপান্তরকামীদের নিয়োগ সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। জানায়, ছ’মাসের মধ্যে এই নীতি স্থির করতে হবে। সোমবার সরকারি আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে জানান যে, রূপান্তরকামীদের নিয়োগ সংক্রান্ত নীতি তৈরি নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। তাতেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনাল। জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁরা রূপান্তরকামীদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে সংরক্ষণ রাখতে বাধ্য। নির্দেশে ট্রাইব্যুনাল এ-ও জানায়, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে এখনও নীতি নির্ধারণ না করলেও তারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানতে বাধ্য। সে কারণেই মহারাষ্ট্রে সাব-ইনস্পেক্টর পদে সংরক্ষণ রাখতেই হবে।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে কর্নাটক সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে রূপান্তরকামীদের জন্য এক শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হবে। গত অগস্টে ছত্তীসগঢ়ে কনস্টেবল পদে ন’জন রূপান্তরকামীকে নিয়োগ করা হয়। ২০১৭ সালে তামিলনাড়ুতেই প্রথম বার সাব-ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগ করা হয়েছিল এক রূপান্তরকামীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy