বুধবার সংশোধিত ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত আবেদনগুলির শুনানি হবে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ মামলাগুলি শুনবে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে থাকবেন বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন। দুপুর ২টো নাগাদ মামলাটি শুনানির জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
নয়া সংশোধিত ওয়াকফ আইন কার্যকরের কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ আবেদন জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে। বুধবার সবগুলি মামলার একত্রে শুনানি শুরু হবে প্রধান বিচারপতি খন্নার বেঞ্চে। মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রাক্তন সাংসদ সেলিম মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে এই মর্মে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন।
শীর্ষ আদালতে আবেদন জানানোর আগে মুসলিম ল’ বোর্ডের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন সেলিম। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা মামলা করেছি সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও মামলা করেনি। ওয়াকফ বিলের ভোটাভুটির সময়ে লোকসভায় তৃণমূলের তিন জন সাংসদ অনুপস্থিত থেকেছেন।’’ তবে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও মামলা করা না-হলেও তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ওয়াকফ সংশোধনী আইনের একটি নির্দিষ্ট ধারায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
বস্তুত, অমুসলিম প্রথম মহিলা হিসাবে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন মহুয়া। এর আগে অমুসলিম হিসাবে একমাত্র মামলা দায়ের করেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সাংসদ মনোজ ঝা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর এবং আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের তরফেও এ সংক্রান্ত আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল গভীর রাতে লোকসভায় পাশ হয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। ৩ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজ্যসভায় ওয়াকফ বিল পাশ হয়েছিল। ৫ এপ্রিল রাতে তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার পরেই তা আনুষ্ঠানিক ভাবে আইনে পরিণত হয়েছে।