গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন প্রস্তাব এসেছে ইজ়রায়েলের তরফে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস যদি ১০ পণবন্দি ইজ়রায়েলিকে মুক্তি দেয়, তবে বিনিময়ে কয়েকশো প্যালেস্টাইনি বন্দিকে মুক্তি দেবে তেল আভিভ। পাশাপাশি, আগামী ৪৫ দিনের জন্য গাজ়ায় হামলা বন্ধ করা হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরেই গাজ়ায় হানা দিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। প্রথমে বন্দুকের নলের সামনে রেখে উত্তর গাজ়া ফাঁকা করানো হয়। এর পরে স্থল অভিযানে মধ্য ভূখণ্ডও গ্রাস করেছে তারা। ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, ধূলিসাৎ করেছে। তার পর টানা হামলা চলেছে দক্ষিণে, খান ইউনিসে। এ বার ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নিশানা গাজ়া ভূখণ্ডের একেবারে দক্ষিণ প্রান্ত রাফা। সেখান থেকে প্যালেস্টাইনিদের সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই পরিস্থিতিতে হামাসের সামনে ইজ়রায়েলের শর্ত মানা ছাড়া কোনও বিকল্প পথ নেই বলে মনে করছেন সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
হামাসের এক প্রথম সারির কমান্ডার মঙ্গলবার জানান, তাঁরা প্রস্তাবটি বিবেচনা করছেন। তাঁর দাবি, ইজ়রায়েলের শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন মার্কিন-ইজ়রায়েলি নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারকে ‘আমেরিকার প্রতি বিশেষ সম্মান জানিয়ে’ মুক্তি দেওয়া হবে। এর পর আরো ন’জন ইঝরায়েলি পণবন্দি দু’ধাপে মুক্তি পাবেন। বিনিময়ে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ১২০ জন প্যালেস্টাইনি বন্দি ও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে কোনও অভিযোগ ছাড়া আটক ১১০০-র বেশি প্যালেস্টাইনি মুক্তি পেতে পারেন। প্রসঙ্গত, কাতারের মধ্যস্থতায় এবং আমেরিকা ও মিশরের প্রচেষ্টায় গত ১৫ জানুয়ারি রাতে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইজ়রায়েল সরকার এবং হামাস। ১৯ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়েছিল। কিন্তু মার্চের গোড়ায় একতরফা ভাবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজ়ায় আবার হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলি সেনা।