Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ওবর-বিরোধী জোটে ভারত

দশ বছরে বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে অনেকটাই। আমেরিকায় জমানা বদল হওয়ার পর সেই বদল আরও গতি পেয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০১
Share: Save:

চিনের মহা যোগাযোগ প্রকল্প ‘ওবর’-এর সঙ্গে পাল্লা দিতে জোট বাঁধতে চলেছে চারটি দেশ। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এই জোটে রয়েছে ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল গোপনে। ভারত, জাপান এবং আমেরিকার মধ্যে গত কয়েক বছর ধরেই চলছিল ত্রিপাক্ষিক নৌ মহড়া ‘মালাবার এক্সারসাইজ’। ২০০৭ সালে তাতে যোগ দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াও। পরে চিনের চাপে পিছিয়ে যায় তারা।

দশ বছরে বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে অনেকটাই। আমেরিকায় জমানা বদল হওয়ার পর সেই বদল আরও গতি পেয়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে স্থির হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও বেশি করে এই চর্তুদেশীয় অক্ষটি কাজ করতে শুরু করবে। জাপানের বিদেশমন্ত্রী তারো কোনো সে দেশের দৈনিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়ার পর আজ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার জানিয়েছেন, ‘‘নিজেদের মতাদর্শ এবং স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে এমন বিষয়গুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমমনস্ক রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কাজ করতে রাজি আমরা।’’

এই একই উদ্দেশ্যে যে সব ত্রিদেশীয় অক্ষে ভারত ইতিমধ্যেই কাজ করছে সেগুলিরও আজ উল্লেখ করেছেন মুখপাত্র। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আমরা দরজা খুলে রেখেছি। তবে অবশ্যই সেই কাজ আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক হওয়া জরুরি।’’ গতকালই বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর ‘কার্নেগি ইন্ডিয়া’ আয়োজিত একটি আলোচনাচক্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এমন সব দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যাদের মূল লক্ষ্যটা আমাদের সঙ্গে মেলে। জাপান হল এমনই একটি দেশ।’’

মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনের সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরেই এই চতুর্দেশীয় অক্ষের ভিতটি পোক্ত হয়েছে বলে জানাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। এ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মোদীর ফিলিপিন্স যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার কথা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সেখানে উপস্থিত থাকবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-ও।

প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে চার দেশের মধ্যে শুধু নৌ মহড়া নয়, সমুদ্রপথে বাণিজ্য প্রতিরক্ষা অনেকটা বাড়ানো হবে। কূটনীতিকদের মতে, চিনের ওই মহাপ্রকল্পের সঙ্গে কার্যকরী ভাবে কতটা পাল্লা দিতে পারবে এই চর্তুদেশীয় অক্ষ তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আপাতত আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে সাউথ ব্লকের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE