প্রতীকী ছবি।
আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিখরে ছুঁয়ে ফেলবে করোনা-স্ফীতি। একটি গবেষণায় দাবি, করোনার এই স্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে প্রতিদিন কম করেও ১০ লক্ষ ভারতবাসী করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রমণের যে প্রবণতা, তা বিচার করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ভারতের দু’টি গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট (বেঙ্গালুরু)।
ওই দুই সংস্থার বিজ্ঞানী অধ্যাপক শিব আত্রেয়া এবং রাজেশ সুন্দরসন সম্প্রতি ওমিক্রন নিয়ে তাঁদের গবেষণার ভিত্তিতে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই সাম্প্রতিক করোনা-স্ফীতি সর্বোচ্চ হবে। যার প্রভাব থাকবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার কেমন ছিল, গবেষণা করার সময় তা মাথায় রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে আরও একটি বিষয় সমান কিংবা কিছুটা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, টিকা নেওয়ার পরও দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশের মধ্যে করোনার ‘দুর্বলতর’ রূপ বা ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গবেষণায় এই অংশ বা সংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানীদের কথায়, ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের মধ্যে বেড়েছে, সেই সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। এঁরা মোট টিকাপ্রাপ্তদের ৩০ শতাংশ হতে পারেন। ৬০ শতাংশ হতে পারেন আবার ১০০ শতাংশও হতে পারেন। এই সংখ্যার নিরিখে করোনার নতুন স্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে দৈনিক তিন লক্ষ, ছ’লক্ষ এমনকি ১০ লক্ষ দেশবাসী দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দুই গবেষক।
তবে রাজ্যভেদে এই সর্বোচ্চ স্ফীতির সময়ের হেরফের হতে পারে বলেও জানিয়েছেন দুই বিজ্ঞানী। যেমন তাঁদের কথামতো দিল্লিতে মাঝ জানুয়ারিতেই করোনার দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে পারে। আবার তামিলনাড়ুতে করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করবে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে।
তবে সব মিলিয়ে দেশে জানুয়ারির দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের হার শিখরে পৌঁছবে বলে আগাম জানিয়েছে দুই সংস্থা। তবে বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করেছেন, অন্য বারের মতো এ বারের করোনাস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। মার্চের শুরুতেই দেশে সংক্রমণের হার অনেকখানি কমে আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy