প্রার্থী ঘোষণার পরে মেঘালয় বিজেপিতে অসন্তোষ তীব্র। একেই দলের হাতে বর্তমান কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমার যোগ্য বিকল্প ছিল না। তার মধ্যেই দলের প্রদেশ সভাপতির বোন ভায়োলেট লিংডো এবং রাজ্য সহ-সভাপতি এডমন্ড কে সাংমাকে প্রার্থী না করায় দলের মধ্যে ক্ষোভ প্রকট। বিজেপির পালে হাওয়া কম বুঝে তাদের জোট শরিক এনপিপি, ভোটের পরে প্রয়োজনে কংগ্রেসের হাত ধরার ইঙ্গিতও দিয়ে রাখল।
গত কাল দিল্লিতে বিজেপি নেতৃত্ব মেঘালয়ের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। আর তারপর থেকেই ক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এই পাহাড়ি রাজ্যে। রাকসামগ্রে থেকে দলের সহ-সভাপতির দাঁড়ানো প্রায় নিশ্চিত ছিল। কিন্তু প্রকাশিত তালিকায় জোনাথন রাভার নাম দেখে তিনি ক্ষুব্ধ। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি খংওয়ারকেও প্রার্থী করেনি দল। বদলে কংগ্রেস থেকে টিকিট না পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বি নোংমালিয়েকে জিরাং আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। টিকিট পাবেন ভরসা পেয়ে এনপিপি ছেড়ে বিজেপিতে আসা প্রাক্তন বিধায়ক বাগমারার সাত্তো মারাকও টিকিট পাননি। গারো পাহাড়ের ছ’টি আসনে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। কংগ্রেস ছেড়ে আসা প্রবীন বিধায়ক এ এল হেক ও এনসিপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সানবর সুলাইকে অবশ্য প্রার্থী করা হয়েছে।
রাজ্যে বিজেপির পালে হাওয়া তেমন জোরদার নয় বুঝেই নিজেদের পরবর্তী পথ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রয়াত পূর্ণ সাংমার দল এনপিপি। মেঘালয়ে ক্ষমতাসীন জোটের কাছাকাছি থাকাই এখন এনপিপি-র প্রধান লক্ষ্য। রাজ্য বিজেপি দলীয় কোঁদলে আগে থেকেই বিপর্যস্ত ছিল। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভের জেরে তাদের জয়ের আশা আরও কমছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এনপিপি আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছে, অন্য রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে তাদের গাঁটছড়া থাকলেও মেঘালয়ে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছে। এখানে প্রধান লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে হলেও রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে ভোটের পরে যদি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলতে হয়, তারা চলবে। নির্বাচনের পরেই দল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy