নীতীশ কুমার।— ফাইল চিত্র।
জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে পটনায় মহাজোটের ভবিষ্যত।
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে পটনা বিধানসভার অধিবেশন। সূত্রের খবর, তার আগেই দুর্নীতির অভিযোগের তিরে বিদ্ধ উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের পদত্যাগ চাইছেন জেডিইউ বিধায়কদের একাংশ। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সমর্থন রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে দলের তরফে।
ও দিকে, মঙ্গলবার রাতেই বিধানমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। তেজস্বী ইস্যুতে দলের অবস্থান কী হবে, ওই বৈঠকে সে ব্যাপারে বিধায়কদের বার্তা দিতে পারেন লালু।
জেডিইউ সূত্রে খবর, দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও ভাবেই আপস করতে রাজি নন নীতীশ। তেজস্বী পদত্যাগ না করলে বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।
জেডিইউ-এর প্রদেশ সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহের দাবি, দলীয় বিধায়কদের সামনে নীতীশ মহাজোটের শরিকদের সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জেডিইউ বিধায়ক শ্যামবাহাদুর সিংহ বলেছেন, ‘‘তেজস্বী যাদবের পদত্যাগ করা উচিত। তাতে সরকার পড়ে গেলে আমরা আবার নির্বাচনে লড়তে প্রস্তুত।’’
আরও পড়ুন: হঠাৎ দেখা মোদী-মমতার, পাহাড় নিয়ে রাজনাথের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ
বিহার পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এখনও দোলাচলে। নীতীশ কী করতে পারেন, মূলত তা নিয়েই তাঁরা ধন্দে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নীতীশের কাছে ২০১৯-এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা ভোট। গত লোকসভা ভোটে বিহারে বিজেপি তথা এনডিএ আসন সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে থাকলেও, তারা পেয়েছিল ৩৯.৫% ভোট। যার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ২৯.৯% ভোট। পক্ষান্তরে, ত্রিধাবিভক্ত বিরোধীরা পেয়েছিলেন মোট ৪৫.১% ভোট (আরজেডি ২০.৫%, জেডিইউ ১৬.০% ও কংগ্রেস ৮.৬%)।
পরিস্থিতি যা, তাতে তেজস্বী যাদব ইস্তফা দিলে মহাজোট টিঁকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে নীতীশ কুমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy