পঞ্চম বারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সংযুক্ত জনতা দল নেতা নীতীশ কুমার। মহাজোটের অন্যতম শরিক রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী হলেন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ বছর বয়সের তেজস্বী এই প্রথম বিধায়ক হলেন।
তবে শুরুতেই এ দিন বড়সড় ধাক্কা খেল মহাজোট। পটনার গাঁধী ময়দানে মহাজোটের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব ও তাঁর পুত্র উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিংহ যাদব। বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই আসন রফা নিয়ে মতবিরোধের জেরে মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মুলায়ম। কিন্তু বিহার ভোটে মহাজোটের জয়জয়কারের পর বহু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরই ধারণা ছিল, মহাজোটের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে হাজির থেকে সেই দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করবেন মুলায়ম। মনে করা হচ্ছে, কৌশল গত কারণেই এ দিন মহাজোটের সরকারের শপথ অনুষ্ঠান এড়িয়ে গেলেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো। সম্ভবত বিজেপি-কে তিনি এখনই চটাতে চাইছেন না।
এ দিনের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হাজির থাকতে না পারলেও তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে পটনায় পাঠিয়েছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু ও রাজীব প্রতাপ রুডিকে। মহাজোটের তরফে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে।
বিহারে মহাজোটের অন্যতম শরিক দল কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি হাজির ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে। কংগ্রেসের নির্বাচিত ২৭ জন বিধায়কের মধ্যে মন্ত্রিসভায় অন্তত চার জনের ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা। তা ছাড়াও বহু কংগ্রেসি নেতা ও কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী হাজির ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ও তাঁর পিতা ফারুক আবদুল্লা। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডিএমকে নেতা এম করুণানিধি তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র স্ট্যালিনকে পাঠিয়েছেন শপথ অনুষ্ঠানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy