Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

ঝাড়খণ্ডকে লুটেরা-মুক্ত করার আর্জি মোদীর

ঝাড়খণ্ডে বিজেপি স্থায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে পারলে রাজ্যকে লুটেরাদের হাত থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার প্রচারে এসে জামশেদপুরের সভায় মোদীর বক্তব্য, এ রাজ্যে বিজেপি স্থায়ী সরকার গড়তে পারলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শুধু খনির রয়্যালটির টাকাতেই ঝাড়খণ্ডের সার্বিক পরিস্থিতি বদলে যাবে। এর জন্য রাজ্যবাসীকে কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

জামশেদপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী প্রচারসভা। শনিবার। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী

জামশেদপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী প্রচারসভা। শনিবার। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামশেদপুর শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৪৮
Share: Save:

ঝাড়খণ্ডে বিজেপি স্থায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গড়তে পারলে রাজ্যকে লুটেরাদের হাত থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার প্রচারে এসে জামশেদপুরের সভায় মোদীর বক্তব্য, এ রাজ্যে বিজেপি স্থায়ী সরকার গড়তে পারলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শুধু খনির রয়্যালটির টাকাতেই ঝাড়খণ্ডের সার্বিক পরিস্থিতি বদলে যাবে। এর জন্য রাজ্যবাসীকে কারও মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

ঝাড়খণ্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ হওয়ার জন্যই যে রাজ্যের উন্নয়ন হয়নি, সে কথা মোদি অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন। আজও তিনি বললেন, “এখানে এত খনিজ সম্পদ আছে, কয়লা আছে, আকরিক লোহা আছে। কিন্তু সবই লুঠ হয়ে যাচ্ছে।” তাঁর প্রশ্ন, “কেন এখানে বিদ্যুৎ নেই? কেন জল নেই?” বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, যাঁদের সম্পদে সারা দেশ আলোকিত সেই ঝাড়খণ্ড অন্ধকারে! তাঁর কথায়, “দিয়া তলে অন্ধকার!”

এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত, কেন্দ্রে তিনি ক্ষমতায়। তার সুবাদে উন্নয়নের উদ্দেশে এ রাজ্যে তাঁর দলেরই স্থায়ী সরকার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র থেকে পয়সা পাঠাব। কিন্তু সেটা মানুষের সাহায্যের জন্য খরচ করবে, এমন সরকারই তো রাজ্যে দরকার। আমি নজর রাখব, মানুষের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ ঠিকমতো খরচ করা হচ্ছে কি না।” বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মোদি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যে কয়লা নীতি নিয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই ঝাড়খণ্ডকে কয়লার রয়্যালটি হিসেবে কুড়ি হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। ঝাড়খন্ড নিজের জোরেই নিজের উন্নতি করবে।” এ দিনও পরিবারতন্ত্রের প্রসঙ্গ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে। কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “পরিবারতন্ত্র ও বংশতন্ত্রকে দেশের মানুষ মুছে দিয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাও মানুষ তাদের দেয়নি। তা সত্ত্বেও কংগ্রেস শুধরোয়নি। মিথ্যে বলছে, ভুল বলছে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।” একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের ক্ষেত্রে নাম না-করে শিবু সোরেন ও হেমন্ত সোরেনের সরকারকে পরিত্যাগ করার আহ্বান জানান মোদি। তাঁর ভাষায়, “এ রাজ্যেও পরিবারতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য পরিবারতন্ত্রকে ছুড়ে ফেলে দিন।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE