Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

হুরিয়ত নেতা গিলানির ইস্তফা

হুরিয়ত সূত্রের মতে, ৮৮ বছর বয়সি গিলানির স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। জামাই ফান্টুশ গিলানিকে এনআইএ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর মামলায় গ্রেফতার করায় আরও চাপে পড়েন তিনি।

সৈয়দ আলি শাহ গিলানি।

সৈয়দ আলি শাহ গিলানি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০৩:০৫
Share: Save:

তেহরিক-ই-হুরিয়তের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। ওই দায়িত্ব সামলাবেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মহম্মদ আশরফ সেহরাই। সোমবার তেহরিক-ই- হুরিয়তের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পরে গিলানি কট্টরপন্থী অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্স (গিলানি)-র শীর্ষ পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে পারেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।

পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক অশান্তিতেও বড় ভূমিকা নিয়েছেন গিলানি। পাক মদতে উপত্যকায় অশান্তি ছড়াতে তিনি অন্যতম
মুখ্য ভূমিকা নেন বলে বার বার অভিযোগ তুলেছে দিল্লি। জঙ্গি দমন অভিযানের সময়ে বাহিনীকে লক্ষ করে পাথর ছোড়ার পিছনে তিনিই মদত দিচ্ছেন বলে মনে করেন গোয়েন্দারা।

২০০৫ সালে জামাত-ই-ইসলামি নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তেহরিক-ই-হুরিয়ত গঠন করেন তিনি। সেহরাইও তখন তাঁর সঙ্গেই জামাত ছাড়েন। আগেও এক বার সেহরাইকে সংগঠনের শীর্ষ পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সংগঠনের অন্য একটি অংশের চাপে তাঁকে পিছু হটতে হয়। সংগঠনের নেতাদের একাংশ জানান, শীর্ষ নেতা বাছাইয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ নির্বাচনী প্রক্রিয়া রয়েছে। তা গিলানিকেও মেনে চলতে হবে।

হুরিয়ত সূত্রের মতে, ৮৮ বছর বয়সি গিলানির স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। জামাই ফান্টুশ গিলানিকে এনআইএ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত জোগানোর মামলায় গ্রেফতার করায় আরও চাপে পড়েন তিনি। ফান্টুশকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার দাবি তোলেন গিলানি পরিবারেরই অন্য সদস্যেরা। তাই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর হাতে দায়িত্ব দিয়ে সরে যেতে চান তিনি।

অন্য একটি সূত্রের মতে, প্রচারের আলোয় না থাকলে প্রয়োজনে দিল্লির সঙ্গে ট্র্যাক-টু আলোচনাও চালাতে পারবেন বর্ষীয়ান নেতা। কট্টরপন্থী হুরিয়তের শীর্ষ পদে বসে সে কাজ করা সম্ভব নয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE