নিউ শিলচরের মতো কাছাড় জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও জলের লাইনে মিটার বসানো হল। আজ সোনাই বিধানসভা এলাকায় দু’টি এবং উধারবন্দে একটি জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনটি ক্ষেত্রেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং সঙ্গেই সঙ্গে বসানো হচ্ছে জলের মিটার। বিদ্যুতের মতোই যত বেশি জল ব্যবহার করা হবে, তত টাকাই বিল দিতে হবে। সে জন্য প্রতিটি প্রকল্পে একটি করে উপভোক্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরাই স্থির করবেন, কখন জল দেওয়া হবে, কী করেই বা জলকর আদায় করা হবে ইত্যাদি।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার (বরাক উপত্যকা) তাপস রায় জানিয়েছেন, উধারবন্দের দাসপাড়া এবং সোনাইয়ের বারিকনগর ও শিবালিক পার্কে এই তিনটি প্রকল্প হয়েছে। দাসপাড়া প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বিধায়ক মিহিরকান্তি সোম। অন্য দু’টির উদ্বোধক বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর। এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দীপক দাসকে নিয়ে সব ক’টি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাপসবাবু উপস্থিত ছিলেন। তিনটিই হয়েছে ন্যাশনাল রুরাল ড্রিঙ্কিং ওয়াটার প্রোজেক্টে। তিনি জানান, রাস্তার পাইপ থেকে সরকারি খরচে বাড়ির ভিতরে ১০ ফুট পর্যন্ত পাইপ লাইন টানা হবে।
তিনটি প্রকল্পই ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মঞ্জুর হয়েছিল বলে তাপসবাবু জানান। এর মধ্যে দাসপাড়া ও শিবালিক পার্কে জলের উৎস নদী। বারিকনগর প্রকল্পে জল তোলা হবে গভীর নলকূপের মাধ্যমে। সেখানে ১ হাজার ৮৮৭ জনের কাছে জল পৌঁছে দিতে ৫ কিলোমিটার ৮০০ মিটার লাইন টানা হয়েছে। দাসপাড়ায় ১ হাজার ৫৬৯ জনের জন্য লাইন টানতে হয়েছে ৬ কিলোমিটার। শিবালিক এলাকায় উপকৃতদের সংখ্যা ২ হাজার ৯ জন। নতুন লাইন গিয়েছে ৪ কিলোমিটার ৩৬০ মিটার এলাকায়।
তাপসবাবুর কথায়, মিটার বসানোর ফলে জলের অপব্যবহার কমবে। ভবিষ্যতে তিনটি জায়গাতেই ওভারহেড ট্যাঙ্ক বসানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মানুষ ২৪ ঘণ্টাই জল পাবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে বিধায়করা জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে দুর্বল যারা, সেই সব পরিবারগুলি মিটার বসিয়ে বাড়িতে জল নিতে না পারলে পাশাপাশি কয়েকটি বাড়ি মিলিয়ে একটি লাইন নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একজনকে দায়িত্ব নিয়ে অন্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হবে। জলের বিল মেটাতেই হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy