Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

৪২ দিন পরে তোলা গেল এক শ্রমিকের মৃতদেহ

যন্ত্রের ‘হাত’ ধরতে গেলেই দেহ খসে খসে পড়ছিল। তাই উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেয় নৌসেনা। পরিবারগুলির কাতর আর্জি ও সুপ্রিম কোর্টের চাপে আবারও উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়।

খনি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: পিটিআই।

খনি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৭
Share: Save:

মেঘালয়ের কসান খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হল আজ। দুর্ঘটনার ৪২ দিন পর।

ইতিমধ্যে রিমোট যানের ক্যামেরায় ধরা পড়া দেহটির ছবি দেখানো হয়েছিল পরিবারগুলিকে। কিন্তু আজ দেহ উদ্ধারের পরে মৃতদেহের বীভৎস চেহারাটা দেখতে পেয়ে ভেঙে পড়েন মানিক আলি, কামালুদ্দিন, সালেবুর রহমান, আব্দুল মিঁয়া, অভিযানা খাতুনরা। এখনও শনাক্ত না হওয়া দেহটা তাঁদেরই কারও স্বামী, পুত্র, বা দাদার!

১৬ জানুয়ারি, কসানের মূল গহ্বরের ভিতরে থাকা সরু সুড়ঙ্গের ১০০ ফুট ভিতরে নৌসেনার রিমোট চালিত যানের ক্যামেরায় ওই দেহের ছবি ধরা পড়ে। শুরু হয় দেহ উদ্ধারের চেষ্টা। কিন্তু যন্ত্রের ‘হাত’ ধরতে গেলেই দেহ খসে খসে পড়ছিল। তাই উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেয় নৌসেনা। পরিবারগুলির কাতর আর্জি ও সুপ্রিম কোর্টের চাপে আবারও উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়। গত কাল দেহটি অনেকটা তুলে আনার পরে ফের যান্ত্রিক হাত ফসকে নীচে পড়ে তা হারিয়ে যায়। রাত ১০টা নাগাদ ফের দেহটির সন্ধান মেলে। আজ সকাল থেকে ধীরে ধীরে চেষ্টা চালিয়ে বিকেল তিনটে নাগাদ দেহটি উপরে তুলে আনেন নৌসেনা ও এনডিআরএফের ডুবুরিরা। সুরতহালের পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ক্লেরিয়াট স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মর্গে দেহটি রাখা থাকবে। অসমের চিরাং ও হোজাই জেলা থেকে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা আগামী কাল সকালে দেহ শনাক্ত করতে সেখানে যাবেন। তলব করা হয়েছে গারো পাহাড়ের পরিবারগুলিকেও।

কী ভাবে এমন দেহের শনাক্তকরণ সম্ভব হয়? প্রশাসনের মুখপাত্র আর সুসঙ্গি জানান, পরনের নীল জিনসটা এখনও বোঝা যাচ্ছে। সম্ভবত উপরে ছিল লাল গেঞ্জি। দেহের কোনও তাবিজ বা অন্য কিছু দেখে নিটকাত্মীয়রা শনাক্ত করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তা না হলে এক মাত্র ভরসা ডিএনএ পরীক্ষা।

অন্য বিষয়গুলি:

Meghalaya miners Disaster Management Team
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE