প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে।-ফাইল ছবি।
প্রাক্তন সিবিআই প্রধান অলোক বর্মার প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলতে তৎপর হল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)-র রিপোর্টের যে সব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বর্মাকে সরানো হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আনার দাবি জানালেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। বর্মাকে অপসারণের জন্য গত ১০ জানুয়ারি যে বৈঠক হয়েছিল, তার কার্যবিবরণী প্রকাশেরও দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন খড়্গে। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারের সিদ্ধান্ত বিচার-ব্যবস্থাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। তাই সংশ্লিষ্ট প্রমাণগুলি সামনে এলেই মানুষই সব বুঝতে পারবেন।’’
বর্মার বিষয়ে ১০ তারিখের ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং খড়্গে ছাড়াও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি। সূত্রের খবর, খড়্গে সেখানে দাবি তুলেছিলেন, বর্মাকে কমিটির সামনে নিজের যুক্তি পেশ করতে দেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী ও বিচারপতি সিক্রি সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে অপসারণেই সিলমোহর দেন। যদিও কংগ্রেস সূত্রের দাবি, বর্মাকে সরানোয় নীতিগত ভাবে রাজি ছিলেন না বিচারপতি সিক্রিও। তাই কংগ্রেস চায়, কমিটির বৈঠকে বিচারপতির মনোভাব কী ছিল, তা প্রকাশ্যে আসুক। খড়্গের আরও অভিযোগ, কোনও নিয়ম না-মেনে সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে নাগেশ্বর রাওকে।
বর্মার ভূমিকা নিয়ে অবশ্য আজ প্রশ্ন উঠেছে দিল্লি হাইকোর্টে। সার্থক চর্তুবেদী নামে এক আইনজীবীর অভিযোগ, বেশ কিছু অফিসার নিয়ম ভেঙে ফোনে আড়ি পেতেছেন। বর্মা-ঘনিষ্ঠ ওই অফিসারদের ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আর্জি জানান তিনি। ২৬ মার্চের আগে সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন এবং বিচারপতি ভি কামেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy