চাকরি নেই, তো ভোটও নেই।
নরেন্দ্র মোদী যখন সকলকে দেশভক্তিতে মজিয়ে রাখতে চাইছেন, রাহুল গাঁধী ফিরিয়ে আনতে চাইছেন বেকারত্বের মতো মূল বিষয়গুলি। আজ তামিলনাড়ুতে তিনি ঘোষণা করেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মহিলা সংরক্ষণ বিল তো পাশ করানো হবেই। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতেও মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা হবে। দিল্লিতে এ দিনই তাঁর দল বিজেপির বিরুদ্ধে এনেছে নতুন স্লোগান: ‘চাকরি নেই, তো ভোটও নেই।’
ভোটের দিন ঘোষণার সময়েই নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ বারে প্রায় দেড় কোটি নতুন ভোটার রয়েছে। এই ভোটারদের ধরার জন্য প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে ৫০ হাজার করে নতুন ফর্মও বিলি করা হচ্ছে। জানতে চাওয়া হচ্ছে, মোদী সরকার তাঁদের কাউকে রোজগার দিয়েছে কি না। কংগ্রেসের সূত্রের মতে, কংগ্রেসের ইস্তাহারে যুবকদের কাছে টানার জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব থাকছে। রোজগারের নতুন সন্ধান থাকবে। শিক্ষায় ৬ শতাংশ বরাদ্দ করা হবে। রাষ্ট্রদ্রোহের আইন বাতিল করার প্রতিশ্রুতিও থাকবে। যে আইনের আওতায় আজকাল পড়ুয়াদের ফাঁসানো হচ্ছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দিল্লিতে কংগ্রেসের রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বছরে ২ কোটি রোজগারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। পাঁচ বছর পর বেকারত্ব গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবথেকে বেশি। আর্থিক বৃদ্ধি পাঁচ বছরে সবথেকে কম। কৃষকদের আয়ের বৃদ্ধি ১৪ বছরে সবথেকে কম। নতুন বিনিয়োগেরও একই হাল। শিল্পের বৃদ্ধিও কমেছে। পাঁচ বছরে দেশে কোনও নতুন শিক্ষানীতিও আনতে পারেনি মোদী সরকার। রণদীপ মনে করান, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে, প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বেলাতেও তাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy