— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গত মাসেই ‘কাজের চাপে’ মৃত্যু হয়েছিল পুণের বহুজাতিক সংস্থার এক কর্মীর। সেই ঘটনার মাসখানেকের মাথায় এ বার সেই কাজের চাপেই আত্মহত্যা করলেন উত্তরপ্রদেশের যুবক। আত্মহত্যার আগে পরিবারের উদ্দেশ্যে লিখে গেলেন সুইসাইড নোটও।
মৃত যুবক উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির বাসিন্দা। একটি আর্থিক সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। গত দু’মাস ধরেই ‘টার্গেট’ পূরণের জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মচারীরা। বেতন কেটে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। কাজের চাপ সইতে না পেরে শেষমেশ আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তিনি।
সোমবার সকালে নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে অন্য ঘরে আটকে রেখে আত্মহত্যা করেছেন ওই যুবক। তাঁর দেহের কাছেই উদ্ধার হয়েছে পাঁচ পাতার একটি ‘সুইসাইড নোট’। তাতেই কাজের চাপের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘‘৪৫ দিন ঠিক করে ঘুমোইনি। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আর পারলাম না। আসি।’’ চিঠির শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন যুবক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পুলিশ আধিকারিক বিনোদ কুমার গৌতম বলেছেন, ‘‘সুইসাইড নোটে বলা হয়েছে, টার্গেট পূরণের জন্য তাঁকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’
প্রসঙ্গত, গত মাসেই ‘কাজের চাপে’ মৃত্যু হয়েছে পুণের বহুজাতিক সংস্থা ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’-এ কর্মরত কেরলবাসী ২৬ বছরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অ্যানা সেবাস্টিয়ানের। এই ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে নানা মহলে। সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে চিঠিও লিখেছেন মৃতার মা। সেখানে চার মাস ধরে মেয়ের উপর মানসিক অত্যাচার চলেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এর পর থেকেই কর্পোরেটগুলিতে কাজের পরিবেশ বদলের জন্য সুর চড়াতে শুরু করেছেন অনেকে। সমাজমাধ্যমেও চলছে বিস্তর লেখালিখি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy