গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আইআইটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু সময়মতো ফি দিতে না পারায় ভর্তি হতে পারেননি উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের দলিত পড়ুয়া অতুল কুমার। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ ভারতীয় সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘বিশেষ ক্ষমতা’ প্রয়োগ করে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ আইআইটি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল, অবিলম্বে অতুলকে ভর্তি করে নিতে হবে।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি তাঁর নির্দেশ ঘোষণা করে বলেন, ‘‘টাকার অভাবে মেধা বঞ্চিত হতে পারে না।’’ প্রসঙ্গত, দরিদ্র দিনমজুর পরিবারের ছেলে অতুল আইআইটির সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ধানবাদে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। গত ২৪ জুন বিকেল ৫টার মধ্যে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ১৭ হাজার টাকা ফি জমা দেওয়ার শর্ত ছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে সেই টাকা জোগাড় করতে না পারায় তিনি ভর্তি হতে পারেননি।
১৮ বছরের অতুলের দাবি, টাকা জোগাড় করতে তাঁর কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। ২৪ জুন ভর্তির নথিপত্র অনলাইনে আপলোড করার পরে ফি জমা দিতে গিয়ে তিনি দেখেন বিকেল ৫টা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে ভর্তি আটকে যায়। অতুল প্রথমে ঝাড়়খণ্ড এবং মাদ্রাজ হাই কোর্টে এ বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। আবেদনে তিনি জানান, তাঁর বাবা দৈনিক ৪৫০ টাকা রোজগারের দিনমজুর, তাই টাকা জোগাড় করতে দেরি হয়েছে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার জানিয়েছে, অতুলের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকেই স্পষ্ট, টাকা জোগাড় করার জন্য তাঁর পরিবারকে মরিয়া চেষ্টা চালাতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy