—ফাইল চিত্র।
অরুণাচল মানেই চিন যুদ্ধের স্মৃতি, সীমান্ত ঘিরে চাপা উত্তেজনা, কাশ্মীরে চার জঙ্গিকে হত্যা করে মরণোত্তর অশোকচক্র-জয়ী হাংপান দাদা এবং দেশপ্রেম।
এই সব মাথায় রেখেই পুলওয়ামার জঙ্গি হানা ও সেই সময়ে করবেট জাতীয় উদ্যানে নরেন্দ্র মোদীর ফটোসেশনে ব্যস্ত রাখার প্রসঙ্গ এবং ডোকলামে চিনা সেনার দখলদারির বিষয়টি তুলে ধরে আক্রমণ শানালেন রাহুল গাঁধী। সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও রইল। রাহুলের দাবি, উত্তর-পূর্বে পরিবহণ বড় সমস্যা। বিজেপি সে কথা মনে না রাখলেও কংগ্রেস রাখবে। উত্তর-পূর্বের জন্য আলাদা মনোযোগ দরকার। সেই কারণেই ক্ষমতায় এলে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ফেরাবেন, কথা দিলেন রাহুল।
ইটানগরের সভায় আজ রাহুল বলেন, ‘‘পুলওয়ামায় হানার খবর পেয়েই কংগ্রেস দেশের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেয়। আমি সব অনুষ্ঠান বাতিল করে দিই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তখন ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছিলেন।’’ রাহুলের দাবি, মোদী যেখানেই যান সাম্প্রদায়িক টানাপড়েন ও ঘৃণা ছড়ান। তাঁর উদ্দেশ্য, সংবিধান ধ্বংস করা। কংগ্রেস তা হতে দেবে না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাহুল মনে করান, চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে মোদী যখন গুজরাতে দোলনায় দুলছিলেন, তখনই চিনা সেনা ডোকলাম দখলের চেষ্টা করছিল। মোদী তখন এ নিয়ে কিচ্ছু বলেননি। এর পর মোদী নিজে যখন চিনে গেলেন, তখনও চিনা সেনা ডোকলামে। রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘এই হল নরেন্দ্র মোদীর দেশভক্তি।’’
নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী, বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কর্তন, স্থায়ী আবাসিক শংসাপত্র নিয়ে আন্দোলনে তিন যুবকের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, ‘‘এই সরকারের পছন্দ মতো কথা না বললে, প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদী কন্ঠ থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ক্ষমতায় ফেরান, যা চাইবেন সব দেব।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদী ও তাঁর সব বন্ধুরা পাইকারি হারে চুরি করছেন আর গোটা দেশের মানুষকে চৌকিদার বানানোর চেষ্টা করছেন।’’
অরুণাচল থেকে রাহুল বিকেলে মণিপুরে যান। ইম্ফলে বিটি পার্কে শহিদ স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানিয়ে ইমা বাজার দেখতে যান। রাতে দলীয় বৈঠকের পরে ইম্ফলের সাধারণ একটি হোটেলে রাত্রিবাস করেন তিনি। মণিপুরে এখনও লোকসভার প্রার্থী ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। আউটার আসনে সাত জন ও ইনারে ন'জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। কাল সকালে রাহুল রাজ্য ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিতে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। পরে হাট্টা কাংজেইবুঙে জনসভা করবেন।
এ দিকে, কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করা নেত্রী জারজুম এতে সেকুলার জনতা দলের প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেসের নাবাম টুকি ও বিজেপির কিরেণ রিজিজুর বিরুদ্ধে লড়বেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy