মেরঠের হাসপাতালে চন্দ্রশেখরের কাছে প্রিয়ঙ্কা। পিটিআই
কংগ্রেসের সঙ্গে কোথাও কোনও সমঝোতা করবেন না, গত কালই জানিয়েছিলেন মায়াবতী। আজ বহেনজির উদ্বেগ বাড়িয়ে দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে দেখা করতে মেরঠের হাসপাতালে গেলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। সাক্ষাতের পরে বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তাঁর নিজের লড়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আজাদ। প্রিয়ঙ্কাও দু’এক দিনের মধ্যে বারাণসী যেতে পারেন।
রাহুল গাঁধী পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ভার দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। পূর্বের ভার প্রিয়ঙ্কাকে। আজ সিন্ধিয়াকে নিয়েই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সমীকরণ সাজাতে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। ‘ভীম আর্মি’র প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রশেখর আজাদ ওরফে রাবণকে অনেক দিন ধরেই দলিত সমাজের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে তুলে ধরছিল কংগ্রেস। সহারনপুরের সংঘর্ষের পরে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সম্প্রতি ছেড়েও দেওয়া হয়। ফের ভোট-বিধি ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কিন্তু অসুস্থতার কারণে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে।
রাজ্যের নেতাদের মতে, আজাদ প্রথমে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে চাননি। কিন্তু নাছোড় ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। হাসপাতালের বেডে শোয়া আজাদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘সরকার রোজগার তো দিতে পারছেই না। যে যুবকেরা লড়াই করছেন, তাঁদেরও মুখ বন্ধ করতে চাইছে। আমার এই যুবকের ‘জোশ’ পছন্দ হয়েছে। তাঁর লড়াই ভাল লেগেছে। তাঁর যন্ত্রণা বুঝতে পারি।’’ পরে চন্দ্রশেখর টুইটারে লেখেন, ‘‘বড় বোন প্রিয়ঙ্কা আজ মানবিক কারণে আমার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁকে ধন্যবাদ।’’
কংগ্রেস আজাদকে উত্তরপ্রদেশের নাগিনা আসন থেকে লড়ার প্রস্তাব দিতে পারে বলে জল্পনা ছিল। রাতে অবশ্য সেই আসনে প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। বারাণসীর প্রার্থী ঘোষণা হয়নি এখনও। যদিও প্রিয়ঙ্কা দাবি করেন, আজাদের সঙ্গে আজ তাঁর কোনও রাজনৈতিক আলোচনাই হয়নি। আজাদ দু’দিন আগে বলেছিলেন, মোদী ও স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে মহাজোটের দলগুলি ওজনদার প্রার্থী না-দিলে তাঁরা লড়বেন। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, আজাদ মোদীর বিরুদ্ধে লড়েন কি না, তা পরের কথা। কিন্তু স্মৃতি যদি রাহুল গাঁধীর কেন্দ্র অমেঠী থেকে লড়েন, আর সেখানে আজাদ প্রার্থী দেন তা হলে কংগ্রেসের লোকসান। প্রিয়ঙ্কার আজকের সফরে সেটিকেও আটকানোর চেষ্টা ছিল।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রিয়ঙ্কার সফরের পরে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন মায়াবতী। সহারনপুর হিংসার সময়ে মায়াবতী বলেছিলেন, দলিতরা যেন বিএসপি-র পতাকার নীচেই লড়েন। দলিত ভোটে অন্য কেউ থাবা বসালে সেটি সুখকর নয় বহেনজির পক্ষে। আজ কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, উত্তরপ্রদেশে সব আসনে একা লড়বে তারা। যার মধ্যে ১৬টিতে আজই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। পরশু থেকে উত্তরপ্রদেশে প্রিয়ঙ্কার চার দিনের সফরেরও প্রস্তুতি চলছে। প্রথমে তাঁর যাওয়ার কথা লখনউ। তার পরে ইলাহাবাদ। সেখান থেকে গঙ্গাবক্ষ হয়ে প্রিয়ঙ্কা বারাণসী যেতে পারেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy