নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এএফপি।
দেশভক্তির পরে ভোটভক্তি।
আজ সকালে আচমকাই প্রায় তিরিশটির মতো টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতি, ক্রীড়া, শিল্পপতি, সাংবাদিক, বলিউডের প্রায় একশো জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ট্যাগ করলেন। আর আবেদন করলেন, সকলে যেন নাগরিকদের ভোটদানের জন্য আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর আবেদনের তালিকা থেকে বাদ গেলেন না রাহুল গাঁধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মায়াবতী, অখিলেশ থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চন তিন খান, আলিয়া-অনুষ্কা-দীপিকারা। ছিলেন রতন টাটা, মাহিন্দ্রা, সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহালিরাও।
রাজনীতিকদের জন্য সোজাসাপটা আবেদন, তারকাদের ক্ষেত্রে ছবির সংলাপও মিশিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেমন আমির-সলমন খানকে ‘ট্যাগ’ করে ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবির সংলাপ জুড়েছেন। রণবীর সিংহকে বলেছেন, ‘সকলকে বলুন, আপনা টাইম আ গ্যয়া।’ ভিকি কৌশলকে মনে করিয়েছেন ‘জোশ’-এর কথা।
নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণার পর এখন আদর্শ আচরণবিধি গোটা দেশে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আপত্তি তোলার অবকাশ নেই। কারণ, নাগরিকদের ভোট দেওয়ার জন্য খোদ কমিশনও একই ভাবে আবেদন করে থাকে। তারাও সমাজের বিশিষ্ট জনকে এ কাজে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করে। যোগগুরু রামদেব থেকে রামবিলাস পাসোয়ান এ দিন মোদীর ডাকে
সাড়া দিয়ে ভোটের আবেদন করেছেন। বলিউডের করণ জোহর, আমির খান, অক্ষয় কুমাররাও সাড়া দিতে শুরু করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিরোধী দলগুলি অবশ্য মনে করছে, মোদীর এই টুইট আসলে ঘুরিয়ে নিজের প্রচার করারই ছুতো। তাই রাহুল গাঁধী থেকে মমতা— কেউই কোনও উত্তর দেননি। এমনকী ‘বন্ধু’ ও শরিক দলের নেতারাও এগিয়ে আসেননি। নবীন পট্টনায়েক, নীতীশ কুমার কিংবা উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্যও টুইটে কোনও জবাব দেননি। অখিলেশ যাদব তাঁর নিজের ছন্দে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। বলেছেন, ‘‘মন খুশিতে ভরে গেল। প্রধানমন্ত্রী মহাজোটের মাধ্যমে মহাপরিবর্তনের আবেদন করছেন। আমিও সব নাগরিককে আবেদন করছি, বেশি বেশি ভোট দিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছুন।’’
রাহুল চুপ থাকলেও টুইটে জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। জানিয়েছে, ‘‘মোদী নতুন ভোটারদের এগিয়ে আসার জন্য আবেদন করছেন, আর ঠিক সেই সময় তামিলনাড়ুতে রাহুল গাঁধী যুবকদের সঙ্গেই আলাপচারিতা করছেন। এটা কি কাকতালীয়? আমরা মনে করি না। আগেও বলেছি, আবারও বলছি, ভোট দেওয়ার জন্য নথিভুক্ত করুন সকলে।’’
বিজেপির অন্দরে অনেকেই মানছেন, সকালে প্রধানমন্ত্রীর ‘কার্পেট বম্বিং’-এর পর টুইটারে সমর্থনের যে জোয়ার আসবে ভাবা হয়েছিল, তা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy