ইন্টারনেটকে অস্ত্র করে শিশু পাচারের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাস সত্যার্থী।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে নারী ও শিশু পাচারের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। এই অঞ্চলে সত্যার্থী ও তাঁর সংগঠনের কর্মীরা বহুদিন ধরে কাজ করছেন। নোবেল পাওয়ার পর সত্যার্থীর এই প্রথম দু’দিনের সফরে গুয়াহাটি এসেছেন। গত কাল আইটিএ মাছখোয়া প্রেক্ষাগৃহে কৃষ্ণকান্ত সন্দিকই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান ও কলাক্ষেত্রে শিশু নিগ্রহ নিয়ে আলোচনাসভায় তিনি যোগ দেন।
সত্যার্থী বলেন, ‘‘শিশুদের থেকে তাদের স্বপ্ন ও শৈশব কেড়ে নেওয়ার মতো পাপ আর নেই। যুব সমাজের রাগ বা ক্ষোভ গঠনমূলক ও ইতিবাচক শক্তির জন্ম দেয়। তা থেকেই জন্ম নিতে পারে শিশু অধিকার সুরক্ষিত করার নতুন পন্থা।’’ এখনকার যুব প্রজন্ম ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল সাইটকে হাতিয়ার করে সহজেই আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে। সত্যার্থীর আবেদন, অসমের পাচারকারীদের ধরতে ও শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করতে ইন্টারনেটকে মাধ্যম করেই লড়ুক যুব প্রজন্ম। সারা দেশ থেকে সত্যার্থীর সংগঠন ‘বচপন বাঁচাও’ আন্দোলনের সদস্যরা ৮৪ হাজার শিশুকে উদ্ধার করেছে। তিনি জানান, তাঁর সংগঠন শীঘ্রই বিশ্বের ঘরহীন শিশুদের জন্য একটি অভিযান শুরু করতে চলেছে। অসমের অন্তত ১০০ যুবককে তাঁর লড়াইয়ে সঙ্গী হওয়ার ডাক দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy