বিচারপতি রোহিংটন ফোলি নরিম্যান। —ফাইল চিত্র
গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট যখন শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সের মহিলাকে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল, তখন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের এক জন সদস্যই ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। তিনি, বিচারপতি ইন্দু মলহোত্র, মনে করেছিলেন, ধর্মীয় ক্ষেত্রে জনস্বার্থ মামলাকে আমল দিলে তাতে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিদের সুবিধা হবে। নিজেরা সংশ্লিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসী না হলেও ধর্মাচরণ ও ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে তারা। বিচারপতি মলহোত্রর সেই আশঙ্কা ‘ভিত্তিহীন’ ছিল বলে আজ শবরীমালা মামলায় নিজের পৃথক রায়ে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি আর এফ নরিম্যান।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি মলহোত্র এবং বিচারপতি এ এম খানউইলকরের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে নিজের ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের রায় লিখেছেন বিচারপতি নরিম্যান। তাতে তিনি বলেছেন, ‘‘বিচারপতি ইন্দু মলহোত্রের রায় ছিল, শবরীমালা মন্দিরের উপাসক নন, এমন ব্যক্তিদের মামলা গ্রাহ্য হলে ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার স্রোত বয়ে যাবে। আমরা এই রায়ে নির্দিষ্ট করে বলেছি অন্যদের, বিশেষত সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকারকে খাটো করার লক্ষ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়কে ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মান্ধ, খামখেয়ালি, কায়েমি স্বার্থান্বেষীদের গোড়া থেকেই ফিরিয়ে দেবে আদালত। ফলে ওই আশঙ্কা ভিত্তিহীন।’’
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংখ্যালঘু রায়ও গুরুত্বপূর্ণ। তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করার সময়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর এবং বিচারপতি এস এ নাজ়ির আলাদা রায়ে এই বিষয়ে আইন প্রণয়নের কথা বলেছিলেন, যা বাকি তিন বিচারপতি বলেননি। কিন্তু পরে দুই বিচারপতির সেই পৃথক রায়ের উদাহরণ দেখিয়েই তিন তালাকে শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy