বিশ্ব বাজারে আরও কমে ৭১-৭২ ডলারে ঘোরাফেরা করছে অশোধিত তেলের (ব্রেন্ট ক্রুড) ব্যারেল। আর এক ধরনের ডব্লিউটিআই-এর দামও নেমেছে প্রায় ৬৮ ডলারে। ফলে তা কম দামে কেনার সুযোগ পাচ্ছে ভারত। তবু দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দামে তার ছাপ পড়ার প্রত্যাশা আগের থেকে অনেকটা কমেছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। একাংশের মতে, বিশ্ব বাজারে সস্তা তেলের সুবিধা না পাওয়ার কারণ টাকার নিরিখে ডলারের চড়া দাম। যা রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির আমদানি খরচ কমতে দিচ্ছে না। অন্য অংশ অবশ্য আমজনতার সুবিধা না পাওয়ার কিছুটা দায় চাপাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণের উপর। দাবি করছে, এই কারণেই শত সমস্যার মধ্যেও শুধু ভোটের মুখে দাম কমে। কারও কারও মতে, তেলের দাম কমানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। বিশেষত বাজেটে বিপুল করছাড় ঘোষণার পরে কেন্দ্রের উৎপাদন শুল্ক কমানোর সুযোগও যেহেতু অনেকটা কমে। কারণ, ওই ছাড় খাতে ১ লক্ষ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড়তে হচ্ছে তাদের।