মাস তিনেক আগেই রাজধানী এবং তার আশেপাশের এলাকার দূষণ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, দিল্লির আবহাওয়া এখন এতটাই খারাপ যে, রোজ সকালে তিনি হাঁটতেও বেরোতে পারছেন না। সুপ্রিম কোর্টের সেই বিচারপতি অরুণ মিশ্র এ বার জানিয়ে দিলেন, অবসরের পরে ‘গ্যাস চেম্বার’ হয়ে ওঠা এই শহরেই আর থাকবেন না তিনি।
কারণ একটাই। দূষণ আর তার জেরে ঘন কুয়াশা। আজ সুপ্রিম কোর্টে দূষণ সংক্রান্ত একটি মামলা শুনছিলেন বিচারপতি মিশ্র। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, ‘‘আগে দিল্লিতে থাকতে ভাল লাগত। একটা আকর্ষণ ছিল। এখন এখানে শুধু বায়ুদূষণ আর যানজট। আর না। অবসরের পরে এখানে থাকার প্রশ্নই নেই। শহরটা যেন আস্ত গ্যাস চেম্বার হয়ে যাচ্ছে।’’
আজ সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়ে ছিল দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। বিমান ওঠা-নামা আর ট্রেনের বিলম্ব তো আছেই। কুয়াশার জেরে দিল্লির রাস্তাতেও ব্যাপক যানজট। গাড়ি চলেছে ধীর গতিতে। বিচারপতি মিশ্র জানান, কুয়াশার জন্য আর একটু দেরি হলেই দুই নতুন বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি পৌঁছতে পারতেন না। পরিবেশবিদেরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত দূষণের জন্যই শীতের এই মরসুমটায় মাত্রাধিক কুয়াশায় ঢেকে থাকে গোটা শহর।
আজ সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোনও বিমান ওঠা-নামা করতে পারেনি। প্রায় দশটি ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিল্লি পৌঁছতেও দেরি হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির।
দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে যান চলাচল নিয়ে আজ সকালেই সতর্কতা জারি করে দিল্লি পুলিশ। চালকদের প্রতি তারা বার্তা দেয়, সব গাড়ি যেন খুব কম গতিতে চলে। আর সব চালকই যেন হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালান। কুয়াশার এই পরিস্থিতি কমপক্ষে আরও দু’দিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুধু দিল্লি নয়, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডের আকাশও আগামী কয়েক দিন ভারী কুয়াশায় ঢেকে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy