Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Artillery Firing Range

নিশানায় চিন, অরুণাচলের পাহাড়ে প্রথম ‘আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ’ নির্মাণ করে ফেলল ভারতীয় সেনা

ডোকলাম এবং গালওয়ানকাণ্ডের পরে পশ্চিম, পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চিনা ‘বিপদের’ কথা মাথায় রেখে প্রতিআক্রমণের কৌশল সাজাতে কয়েক বছর ধরেই সক্রিয় সেনা।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২০
Share: Save:

সামরিক পরিভাষায় নাম, ‘হাই অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ’। আদতে অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় সম্ভাব্য চিনা হামলা ঠেকাতে তাওয়াংয়ে ভারতীয় সেনার গোলন্দাজ বাহিনীর যুদ্ধভ্যাস-ক্ষেত্র।

ডোকলাম এবং গালওয়ানকাণ্ডের পরে পশ্চিম, পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চিনা ‘বিপদের’ কথা মাথায় রেখে প্রতিআক্রমণের কৌশল সাজাতে কয়েক বছর ধরেই সক্রিয় সেনা। এই উদ্দেশ্যে পার্বত্যযুদ্ধে দক্ষ পদাতিক ব্যাটেলিয়নগুলিকে নিয়ে কয়েক বছর আগেই গড়া হয়েছে ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক কোর’। এ বার অরুণাচলের দুর্গম পাহাড় ঘেরা অঞ্চলে সেনার আর্টিলারি (গোলন্দাজ) রেজিমেন্টগুলির অনুশীলনের জন্য নির্মাণ করা হল ‘হাই অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ’।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ তিব্বত সীমান্তে চিনের সামরিক প্রস্তুতির জবাবে অরুণাচলে মোতায়েন ‘ব্রহ্মাস্ত্র কোর’-এর অংশ হিসাবে এ বার গোলন্দাজ বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১০৫ মিলিমিটার ‘ইন্ডিয়ান ফিল্ড গান’-এর পাশাপাশি আমেরিকা থেকে আমদানি করা ১৫৫ মিলিমিটারের এম-৭৭৭ আল্ট্রালাইট হাউইৎজ়ার থাকবে তাদের হাতে। সেই বাহিনীরই লক্ষ্যভেদের অনুশীলন হবে তাওয়াংরের ওই আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জে। সেনার আর্টিলারি কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আধোশ কুমার বলেন, ‘‘সেনাদের যুদ্ধের প্রকৃত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সুযোগ করে দিতেই ওই ফায়ারিং রেঞ্জটি আমরা তৈরি করেছি। পরবর্তী সময়ে হিমালয়ের উচ্চ পর্বতক্ষেত্রে আরও দু’টি নির্মাণ করা হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE