বাড়ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বদু বাজারে পণ্য়বাহী গাড়ির সারি। ছবি: এএফপি
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতের অর্থনীতি? সেপ্টেম্বর মাসে আর্থিক বৃদ্ধির বেশিরভাগ ক্ষেত্র ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে পরিসংখ্যান। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাজারে ধীরে ধীরে চাহিদা বাড়ছে। তার জেরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যবসায়িক ও বাণিজ্যিক কাজকর্ম। সেই কারণে শুধু ভারতই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতেই গতি এসেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যবসায়িক লেনদেন, উৎপাদন, আমদানি-রফতানির মতো আর্থিক গতিবিধি নির্ধারণকারী আটটি ক্ষেত্রের সেপ্টেম্বর মাসের পরিংসংখ্যান সম্প্রতি প্রকাশ করেছে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ নিউজ’। এর মধ্যে পাঁচটি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছে এবং তিনটি ক্ষেত্র স্থিতিশীল। অগস্টে সামগ্রিক বৃদ্ধির সূচক ছিল ৪। ব্লুববার্গের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৫। এই স্তরে পৌঁছনোর অর্থ, অস্থিরতা কাটিয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে এসেছে বাজার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, মার্চ থেকে টানা প্রায় আড়াই মাসের লকডাউনের জেরে চাহিদা তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পুনরুজ্জীবন ঘটছে। আগামী দিনে এই প্রবণতা আরও বাড়বে বলেই মত অর্থনীতিবিদদের।
সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড গতি এসেছে উৎপাদন ক্ষেত্রে। সেপ্টেম্বরে পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স পৌঁছে গিয়েছে ৫৬.৮-এ, যা ২০১২ সালের পরে আর কখনও হয়নি। ভাল গতি এসেছে পরিষেবা ক্ষেত্রে। সূচক গত মাসের (৪১.৮) চেয়ে ৮ পয়েন্ট উপরে উঠে সেপ্টেম্বরে হয়েছে ৪৯.৮। এই সূচক ৫০-এর নীচে থাকলে যদিও ঋণাত্মক বৃদ্ধি হিসেবেই ধরা হয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধিতে এই উন্নতি অনেকটাই সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: শুরুর দিকে ফল না-ও মিলতে পারে, করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান ব্রিটেন
গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে রফতানিও বেড়েছে ৬ শতাংশ। বিশেষত ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী, কৃষিপণ্য, রাসায়নিক আমাদানি রফতানি অনেকটাই বেড়েছে। কনজিউমার অ্যাকটিভিটি ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এসেছে। তাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রিতে ২৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি। এছাড়া খুচরো ব্যবসাতেও ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা ফিরছে বলে দাবি ব্লুমবার্গের।
আরও পড়ুন: পম্পেয়ো বার্তায় ক্ষুব্ধ চিন, ‘তৃতীয় পক্ষ’ আমেরিকার হস্তক্ষেপ নয়, বার্তা বেজিংয়ের
যদিও এই পরিসংখ্যানে এখনই ততটা আশাবাদী হওয়ার কিছু নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি তথা আর্থিক বৃদ্ধি ঋণাত্মকই থাকবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও সেই কথাই জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy