দু’দেশের কূটনীতির যুদ্ধ যতই থাক, অন্য একটা যুদ্ধ জোট বেঁধেই জিতল ভারত আর চিন। দু’দেশের নৌসেনার যৌথ অভিযানে আজ এডেন উপসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেল একটি মালবাহী জাহাজ। সেই অভিযানে সঙ্গত করল পাকিস্তান আর ইতালির রণতরীও।
মালয়েশিয়ার কেলাং থেকে ইয়েমেনের এডেন বন্দরে যাচ্ছিল দ্বীপরাষ্ট্র তুভালুর জাহাজ ‘ওএস ৩৫’। এডেন উপসাগরের বুকে সেই জাহাজ থেকে গতকাল রাতে হঠাৎ এল ‘এসওএস’। বিপদবার্তা পেল কাছেই থাকা ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস মুম্বই এবং আইএনএস তারকাশ। তাদের ডেক থেকে দ্রুত উড়ে গেল হেলিকপ্টার। জলদস্যুদের গতিবিধির উপরে নজর রাখতে চক্কর কাটতে লাগল আক্রান্ত জাহাজের উপরে। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন তাঁর কর্মীদের নিয়ে একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা শুরু করল ভারতীয় নৌবাহিনী।
ইতিমধ্যে চলে এল চিনের ইউলিন ক্লাস যুদ্ধজাহাজটি। দিনের আলো ফুটতেই ১৮ জন চিনা নৌসেনা উঠে পড়লেন মালবাহী জাহাজটিতে। শুরু হল চিরুনি তল্লাশি। তবে জলদস্যুদের আর দেখা মেলেনি। নৌসেনাদের দাবি, সম্ভবত তাঁদের তৎপরতা দেখে পালিয়ে যায় দস্যুরা। ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ডি কে শর্মা আজ বলেন, ‘‘ওই জাহাজের ১৯ জন কর্মী নিরাপদে আছেন। তাঁরা ফিলিপিন্সের নাগরিক।’’
দলাই লামার অরুণাচল সফরে আপত্তি জানিয়ে সম্প্রতি ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জেও কখনও মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা, কখনও নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার পথে বাধা হয়ে ভারতের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে তারা। কিন্তু এ দিন ছবিটা ছিল অন্য। জলদস্যু তাড়ানোর সফল অভিযান শেষে ভারতীয় নৌসেনাকে ধন্যবাদ দিয়েছে চিন। পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়েছে ভারতও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy