গুজরাতের ভোটের দিন ঘোষণা পিছোনোর মধ্যেই রবিবার নিজের রাজ্যে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগে শনিবার রাতেই তিন যুব নেতার সমর্থন হাসিল করে তাঁর রক্তচাপ বাড়ালেন রাহুল গাঁধী।
ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকোর, দলিত নেতা জিগনেশ মেভানি এবং পতিদার আন্দোলনের পুরোধা হার্দিক পটেল।
আজ দুপুরেই গুজরাত কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই তিন জনকে কংগ্রেসে সামিল হওয়ার জন্য প্রকাশ্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাতে দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে অল্পেশ ঘোষণা করেন, এই তিন যুব নেতাই কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন। আর তিনি নিজে সোমবার কংগ্রেসে পাকাপাকি ভাবে যোগ দেবেন। রাহুল গাঁধীও সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন। হার্দিক অবশ্য নিজে ভোটে না লড়ার কথা বলেছেন, জিগনেশও আরও সময় নিচ্ছেন। কিন্তু দুজনেই বলেছেন, গুজরাতের শাসক দলকে হারাতে একজোট হতে হবে।
এমনিতে সব ভোটেই যুবকদের কাছে টানার চেষ্টা করেন নরেন্দ্র মোদী। তার সঙ্গে মুখে না বললেও জাত-পাতের সমীকরণ মাথায় রাখেন। কিন্তু যেভাবে আজ বিজেপি বিরোধিতায় এই যুব নেতারা একজোট হলেন, তাতে অশনি সঙ্কতে দেখছে বিজেপি। মুখে তারা বলার চেষ্টা করছে, এই যুবনেতারাদের ভোট কংগ্রেসেরই ছিল। ফলে বিজেপির বাড়তি কোনও লোকসান নেই। বরং নতুন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের দিয়ে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা করা হবে।
কিন্তু বাস্তবে ভোটের মুখে তাদের রক্তচাপ কতটা বেড়েছে এই ঘটনায়, তা দ্রুত স্পষ্ট হল আমদাবাদে তড়িঘড়ি অমিত শাহের বৈঠকে। হার্দিকের ঘনিষ্ঠ দুই পতিদার নেতা বরুণ ও রেশমা পটেলকে আজ রাতেই বিজেপিতে সামিল করিয়ে নেন অমিত। তাঁরা আবার হার্দিককে ‘কংগ্রেস এজেন্ট’ বলে গাল পেড়েছেন।
বিজেপি সূত্রের মতে, ওবিসি-এসসি-এসটি মঞ্চের আহ্বায়ক অল্পেশ ঠাকোরকে দলে নিতেও আগ্রহী ছিলেন তিনি। বৈঠকও করেছিলেন। কিন্তু অল্পেশের শর্তে রাজি হননি। অবশেষে শেষ বাজারে সেই বলটি লুফে নিয়েছেন রাহুল।
গুজরাত বিধানসভা ভোটে মোদীই মুখ। সদ্য গুজরাতে গিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে আসা শঙ্করসিন বাঘেলার কথা শুনিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, রাজ্যে কংগ্রেসের কোনও ভিতই নেই। কিন্তু রাহুল যে এ ভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন সেটা ভাবেননি। ভাবেননি, নিজের রাজ্যে এ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন শক্তি এককাট্টা হবে।
রাহুল গাঁধীর বাড়ির সামনে দাড়িয়ে অল্পেশ আজ বলেন, ‘‘আমি জানি, এর পর আমার বিরুদ্ধে অত্যাচার হবে। কাউকে জেলে বন্দি করা হবে, কাউকে ভয় দেখানো হবে। কিন্তু যে ‘গুজরাত মডেলের’ প্রচার হচ্ছে, তা একেবারে ফানুস। এখনও রাজ্যে ৭ লক্ষ বেকার, ৭৪ হাজার কোটি টাকার কৃষকদের ঋণ বকেয়া। শিক্ষা-স্বাস্থ্যের হাল তথৈবচ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy