তিন তলার কার্নিশে বসে এক তরুণী। তাঁর পিছনেই দাঁড়িয়ে মাঝবয়সী এক ব্যক্তি। কিছু কথা বলার পর তরুণীকে ঠেলে ফেলে দিলেন নীচে। তরুণী দোতলার কার্নিশে মাথায় সজোরে ধাক্কা থেয়ে মাটিতে পড়লেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত ঘোষণা করলেন চিকিৎসকরা।
বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণেই ঘটে গেল এমন বিপর্যয়। কোয়ম্বত্তূরের একটি কলেজের বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পরই প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩০৪-এ ধারায় গাফিলতিতে মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই কলেজের মালিক লোকসভার ডেপুটি স্পিকার তথা এআইএডিএমকে নেতা থাম্বিদুরাইয়ের এডুকেশনাল ট্রাস্ট। কলেজের চেয়ারম্যানও থাম্বিদুরাইয়ের স্ত্রী।
কোয়ম্বত্তূরের কোভাই কলাইমঙ্গল কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স-এ বিবিএ পড়ুয়াদের নিয়ে একটি বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ ও মহড়ার আয়োজন করা হয়। নীচে মোটা দড়ির জাল ধরে দাঁড়ান পড়ুয়ারা। অন্য পড়ুয়ারা একে একে ঝাঁপ দিচ্ছিলেন তিন তলার কার্নিশ থেকে। সেই ভাবেই ঝাঁপ দেওয়ার জন্য উপরে নিয়ে যাওয়া হয় দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ১৯ বছরের লোগেশ্বরীকেও। কিন্তু কার্নিশ থেকে তিনি ঝাঁপ দিতে ভয় পাচ্ছিলেন। পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ‘ইনস্ট্রাক্টর’ অরুমুগম। তিনিই লোগেশ্বরীকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ঠেলে ফেলেন। কিন্তু সরাসরি জালে না পড়ে লোগেশ্বরী দোতলার কার্নিশে ধাক্কা খান। তারপর নীচে গড়িয়ে পড়েন। মাথায় ও ঘাড়ে গুরুতর চোট পান তিনি। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
দেখুন ভিডিয়ো
কলেজটি পরিচালনার দায়িত্বে কোভাই কলাইমঙ্গল এডুকেশনাল ট্রাস্ট। থাম্বিদুরাইয়ের নির্বাচনী হলফনামায় দেখানো হয়েছে, ওই ট্রাস্টের মালিক তাঁর স্ত্রী। তবে থাম্বিদুরাইয়ের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: পরকীয়া অপরাধই, কোর্টে বলল কেন্দ্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy