(বাঁ দিকে) জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে গেল ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরে। শনিবার শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র তরফে আসন সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রথমে ঠিক ছিল জেএমএম এবং কংগ্রেস— দুই দল মিলিয়ে ৭০ আসনে লড়বে। কিন্তু শনিবার যে সমঝোতা হয়েছে তাতে দেখা গেল, দুই দল নিজেদের জন্য রেখেছে ৭৩টি আসন। ছয় আসন ছাড়া হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি-কে। তিন আসনে লড়বে বামেরা। জানানো হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে তিন আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে জোট।
জেএমএমের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ পাণ্ডে জানিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেএমএম, কংগ্রেস, আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন একসঙ্গে লড়বে। আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে ছতরপুর, বিশ্রামপুর এবং ধানওয়ার— এই তিনটি আসন বাদে। উল্লেখিত তিন আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে জোট। তার মধ্যে ধানওয়ার আসনে সিপিআইএমএল লিবারেশনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে জেএমএম।
সামনেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় ভোটগ্রহণ। গণনা ২৩ নভেম্বর। সেই নির্বাচনে আসন সমঝোতা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরে মতানৈক্য দেখা গিয়েছিল। বেঁকে বসেছিল আরজেডি। ‘স্বল্প’ আসনে সন্তুষ্ট ছিল না লালুপ্রসাদের দল। তাদের দাবি, ঝাড়খণ্ডে অন্তত ১৮-২০টি আসনে দলের যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে জোটের জন্য অন্তত ১২-১৩টির কম আসন কখনও মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু দেখা গেল, শেষ পর্যন্ত আরজেডি-কে মাত্র ছ’টি আসন ছাড়া হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত আরজেডি নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৩টি আসনে লড়েছিল জেএমএম। কংগ্রেস লড়েছিল ৩১টি আসনে। আরজেডি সাতটি আসনে লড়েছিল। তবে ইভিএমে সেই অর্থে সাফল্য পায়নি লালুপ্রসাদের দল। জয় এসেছিল মাত্র একটিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy