পাঁঠার বদলে ক্ষীর! চিকেন স্টু’র পরিবর্তে পনির!
বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ডে ‘শাকাহারিদের’ দাপটে সাধারণ আমিষাশী থেকে শুরু করে কারাবন্দি কিংবা হাসপাতালের রোগীদেরও নাভিশ্বাস উঠেছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের কসাইখানা বন্ধের ফরমানের পর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে যেন যোগী আদিত্যনাথের পদাঙ্ক অনুসরণের হিড়িক পড়েছে। ব্যতিক্রম নয় ঝাড়খণ্ডের রঘুবর দাস সরকারও। অবৈধ কসাইখানা বন্ধের ফরমান জারির পাশাপাশি, এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে ‘লাইসেন্স-হীন’ মুরগি-পাঁঠার মাংসের দোকানগুলিও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের বিজেপি সরকার। ফলে লাইসেন্সহীন দোকান তো বন্ধই, বৈধ দোকানেও পাঁঠা বা মুরগির সরবরাহ কমে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন জেল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জামশেদপুরের গাগিডিহ্ সেন্ট্রাল জেলের আমিষাশী বন্দিদের আগামী শুক্রবার পাঁঠার ঝোলের বদলে ‘ক্ষীর’ অর্থাৎ পায়েস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই জেলে ১৫৫০ জন কয়েদির অধিকাংশই আমিষাশী। প্রতি শুক্রবার তাঁদের ১০০ গ্রাম করে পাঁঠার মাংস বরাদ্দ। জেলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কয়েদিদের জন্য পাঁঠা বাইরের দোকান থেকে কেটে আনার নিয়ম নেই। জেলের মধ্যেই কাটতে হয়। আমরা যে এজেন্সির কাছ থেকে পাঁঠা কিনে আনি, তার লাইসেন্স থাকলেও সরবরাহ তলানিতে এসে ঠেকেছে। সমস্যা সেখানেই।’’ জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী মাংসের পরিবর্তে মাছ বা ডিম দেওয়ার কথা নয়। সেখানে ‘ক্ষীর’ দেওয়ার কথা লেখা আছে। জামশেদপুরের এডিএম (আইন শৃঙ্খলা) সুবোধ কুমার বলেন, ‘‘আপাতত তাই ক্ষীর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ অন্য দিকে, রাঁচীর বিরসা জেলে ২৬৫০ বন্দির অধিকাংশই আমিষাশী। যাঁরা নিরামিষাশী তাঁরাও পাঁঠার ঝোলের বাটিটা নিয়ে আমিষাশী বন্ধুদের দেন। তাই সব বন্দির কথা ভেবেই মাংস কেনা হয়। বিরসা জেলের সুপার অশোক কুমার বলেন, ‘‘এই শুক্রবার মাছ বা ডিম দেওয়া যায় কিনা তা আমরা দেখছি।’’
গত সোমবার মেনুতে মুরগি না মেলায় বিরস মুখে খাওয়া সেরেছেন রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স-এ (রিমস) ভর্তি থাকা অধিকাংশ রোগীও। সোমবার ও শুক্রবার মুরগির ‘স্টু’ দেন রিমস কর্তৃপক্ষ। কমপক্ষে ১০০ কেজি করে মুরগি লাগে। গত সোমবার মুরগি জোগান আসেনি। রিমসের ডায়েটিশিয়ান মীনাক্ষি কুমারী বলেন, ‘‘মুরগির বদলে পনির দেওয়া হল। কী আর করা যাবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy