এই ড্রোনটিকেই গুলি করে নামানো হয়েছে বলে দাবি পাক সেনার। ছবি: এএফপি।
সপ্তাহখানেক আগেই রাশিয়ার উফায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও আদৌ তা বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল। আর এ বার যে কোনও পাক হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়ে সেই জল্পনা আরও উস্কে দিলেন খোদ বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর।
ভারতের গুপ্তচর ড্রোন না কি গোপনে দুই দেশের সীমান্তের ছবি তুলছিল। যা ভেস্তে দিতেই পাক সেনা গুলি চালিয়ে ড্রোনটিকে নীচে নামায়। এমন অভিযোগ তুলে বুধবার থেকেই সরব হয়েছে পাক সেনা। ইতিমধ্যেই কৈফিয়ত চেয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ইসলামাবাদে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অন্য দিকে, ড্রোনটি ভারতের নয় বলেই দাবি করছে ভারতীয় সেনা।কারণ ব্যাখ্যা করতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র মনীশ মেহতা অবশ্য এ দিন বলেন, ‘‘বুধবার গভীর রাতে পাক সেনা অনধিকার প্রবেশ করছিল। ভারতীয় সেনা তাদের বাধা দিলে তারা গুলি চালায়।’’
ড্রোন বিতর্কে এ বার মুখ খুলল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। পাক সেনার দাবি নস্যাত্ করে বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বলেন, “পাক সেনা যে ড্রোনের কথা বলছে, তা আদৌ ভারতের নয়। বরং পাক সেনাই বারবার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে।” তাঁর দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ বার চুক্তি লঙ্ঘন করে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। “বিএসএফের তরফে চার বার রেঞ্জার্সের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বিপরীত দিক থেকে উত্তর দেওয়া হয়নি”— দাবি জয়শঙ্করের। সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে পাক সেনার যে কোনও হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বিদেশ সচিব।
বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনা গুলি চালায়। গুলিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার আর এস পুরাতে পাক সেনার গুলিতে চার জন বাসিন্দা গুরুতর জখম হন।
যদিও পাক সেনার তরফে অভিযোগ আনা হয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিমবার অঞ্চলের উপরে ভারতীয় সেনা ড্রোন উড়িয়ে ছবি নিচ্ছিল। সেই ড্রোনটিকেই তারা গুলি করে নীচে নামায়। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে ভারত সেনার তরফে।
এমনিতেই মোদী-শরিফ বৈঠকের তিন দিন পরেই পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন। তাঁর সাফ কথা ছিল, আলোচ্যসূচিতে কাশ্মীর না থাকলে ভারতের সঙ্গে কোনও কথাই এগোবে না। পাশাপাশি সমঝোতা এক্সপ্রেসের প্রসঙ্গ টেনেও দিল্লির উপরে চাপ বাড়িয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে, এই টানাপড়েনের মধ্যেই বিএসএফ একটি অগ্নিগর্ভ রিপোর্ট পাঠায় নয়াদিল্লিতে। যার মোদ্দা কথা ছিল, বর্ষার সুযোগ নিয়ে সীমান্তে প্রবল ভাবে সক্রিয় হচ্ছে পাক মদতপুষ্ট বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী। তার মাঝেই গত ২৪ ঘণ্টায় পাক সেনাদের অনুপ্রবেশ এবং ভারতীয় সেনা ছাউনিকে উদ্দেশ করে পাক সেনার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy