গত সপ্তাহে তাঁকে টু-জি স্পেকট্রাম দুর্নীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হল। অবসরের মাত্র ৯ দিন আগে নজিরবিহীন অস্বস্তির মুখে পড়লেন সিবিআই অধিকর্তা রঞ্জিত সিনহা।
স্পেকট্রাম দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের আড়াল করতে চাইছেন বলে অভিযোগ ওঠায় রঞ্জিত সিন্হাকে সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত থেকে সরিয়ে দেয়। আজ একই অভিযোগে সিন্হার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ করেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। অভিযোগ, সিবিআই অধিকর্তার বাসভবনের গেটে রাখা অতিথিদের তালিকা বলছে, গভীর রাতে টু-জি, কয়লা দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে বৈঠক করতেন সিন্হা। সে সময় তাঁর সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররাও থাকতেন না। হাওয়ালা কারবারি মইন কুরেশির সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। বিষয়টি দুর্নীতি দমন শাখার তদন্ত করা উচিত বলে প্রশান্ত ভূষণের দাবি।
রঞ্জিত সিন্হা ২ ডিসেম্বর অবসর নিচ্ছেন। মেয়াদ ফুরনোর পরে আর একটা দিনও যে নরেন্দ্র মোদী সরকার তাঁকে সিবিআইয়ের শীর্ষ পদে দেখতে চাইছে না, আজ তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্র। নতুন সিবিআই অধিকর্তার নিয়োগ নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। লোকপাল আইন পাশের সময় সিবিআই বিষয়ক দিল্লি পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনে সংশোধন হয়। যেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি সিবিআই অধিকর্তার মনোনয়ন করবেন। কিন্তু বর্তমান লোকসভায় কংগ্রেস এত কম আসন জিতেছে যে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায়নি। আইনে ‘প্রধান বিরোধী দল’-এর জায়গায় ‘বৃহত্তম বিরোধী দল’ শব্দটি ঢোকানোর জন্য সংশোধনী বিল পেশ হয়েছে। আইনে সংশোধন হলে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেও মতামত জানাতে পারবেন।
আজ কালো টাকা নিয়ে প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরা ওয়াক আউট করায় বিরোধী শূন্য লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকার বিল পাশ করাতে চায়নি। সরকার চাইছে, এই সপ্তাহেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় সংশোধনীটি পাশ করাতে। ২ ডিসেম্বরের আগেই কমিটির বৈঠক ডেকে সিবিআইয়ের নতুন অধিকর্তা নিয়োগ করতে।
সিবিআইয়ের পরবর্তী অধিকর্তা পদে বর্তমানে সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা অনিল সিন্হা, এনআইএ-র প্রধান শরদ কুমার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক সচিব প্রকাশ মিশ্রর পাশাপাশি বিহার পুলিশের প্রাক্তন ডিজি অভয়ানন্দ, আরপিএফের ডিজি কৃষ্ণ চৌধুরীর নাম উঠে এসেছে। অভয়ানন্দকে বিহারের জেডি (ইউ) সরকার ডিজি-র পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। একই ভাবে প্রকাশ মিশ্রর বিরুদ্ধে ওড়িশায় দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। রাজস্থানের ডিজি-পুলিশ ওমেন্দ্র ভরদ্বাজ এবং মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ-কর্তা অরূপ পট্টনায়কের নামও আলোচনায় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy