ভোটের আগের দিন এমনই হাসিখুশি বীরভদ্র।—নিজস্ব চিত্র।
শিমলায় নিজের বাসভবন ‘হলি লজ’-এ বসে আনন্দবাজারকে কথাটা বললেন হিমাচল প্রদেশের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ। তাঁর আমলে রাজ্যের সবচেয়ে বড় আলোচিত ঘটনা গুড়িয়া-কাণ্ড ঘটেছে। তাঁর উপরে ঝুলছে সিবিআইয়ের খাঁড়া। তা-ও এ বারের নির্বাচনে তিনি নিজেকে নিয়ে তো বটেই, তাঁর দল কংগ্রেসকে নিয়েও ভীষণ আশাবাদী। নির্বাচনের আগের দিন তাঁর সঙ্গে কথা বলল আনন্দবাজার।
• এক দিকে আপনি একা। অন্য দিকে, গোটা বিজেপি পরিবার। আপনার দলের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী মাত্র এক দিনে তিনটে জনসভা করতে এসেছিলেন। কী ভাবে সামলালেন?
বীরভদ্র সিংহ: একা নই। মানুষ আমার পাশে রয়েছে। গোটা হিমাচলের মানুষ। তাই সামলানোর বিষয়টা একা আমার কাঁধেই ছিল, এমনটা নয়। আর কংগ্রেসের অনেক নেতাই এসেছিলেন। তবে তাঁরা হয়তো অতটা হাইপ্রোফাইলের নন। কিন্তু, মানুষের সঙ্গেই তাঁরা থাকেন।
• প্রচারে গিয়ে কী বুঝলেন?
বীরভদ্র সিংহ: মানুষ আমার সঙ্গে আছে। কংগ্রেসের সঙ্গে আছে। কারণ, আমি যেখানে গিয়েছি, সেখানেই মানুষের ঢল নেমেছে। বিজেপি কোনও ম্যাপেই নেই হিমাচলে।।
• কিন্তু গুড়িয়া কাঁটাও তো রয়েছে আপনার?
বীরভদ্র সিংহ: দেখুন, ওই ঘটনাটা খুবই খারাপ। হিমাচলের ইতিহাসে এমনটা প্রথমই বলা চলে। কিন্তু, আমি সঙ্গে সঙ্গে ‘সিট’ গঠন করেছি। মানুষ তাতে আপত্তি তোলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে তা আদায় করেও এনেছি। তারা তদন্ত করছে। আমার সরকার তো হাত গুটিয়ে বসে ছিল না। মানুষ সেটা জানে। বোঝেও।
• আপনার নিজের বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্ত চলছে। তার কোনও প্রভাব?
বীরভদ্র সিংহ: তদন্ত চলছে। কিছুই প্রমাণ করতে পারবে না। কারণ, আমি নির্দোষ। এটাও মানুষ জানে। আমার মেয়ের বিয়ের দিন যে ভাবে গোয়েন্দা পাঠিয়ে গোটা পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছে, সেটাও মানুষ দেখেছে।
বুধবার আনন্দবাজারের মুখোমুখি বীরভদ্র।—নিজস্ব চিত্র।
• ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে আপনি কতটা আশাবাদী?
বীরভদ্র সিংহ: গত পাঁচ বছরে এ রাজ্যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আজ যে দিকে দেখুন, সেখানেই উন্নয়নের বন্যা বইছে। হিমাচলের উন্নয়নের সামনে গুজরাতের মোদী মডেলও কোথাও ঠাঁই পাবে না। আমি গত পাঁচ বছরে প্রতিটি জায়গার খেয়াল রেখেছি। ছোট, বড় মধ্যবিত্ত— সব ধরনের মানুষের পাশে থেকেছি। ফলে আর কোনও প্রশ্ন ওঠে কি এই বিষয়ে!
• কতগুলো আসনে জয় আসবে কংগ্রেসের?
বীরভদ্র সিংহ: আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাব। এর বেশি কিছু বলার নেই।
• গোঁজ প্রার্থীরা কংগ্রেসকে ভোগাতে পারে বলে অনেকে বলছেন!
বীরভদ্র সিংহ: না, না। ওঁরাও আমাদের সঙ্গেই আছেন। শেষ মুহূর্তে দেখবেন, সব ভোট আমাদের ঝুলিতেই আসবে।
আরও পড়ুন:
ভোট উত্তাপের চাদরে গা মুড়েছে কনকনে হিমাচল
• মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজেকে কত দেবেন?
বীরভদ্র সিংহ: দেখুন দশে আট দেব। দশে দশ তো আর দিতে পারি না। (হাসি)।
• আপনার প্রতিপক্ষ প্রেম কুমার ধুমলকে কত দেবেন?
বীরভদ্র সিংহ: জিতবেই না, তাঁকে নম্বর কেন দিতে যাব!
• এর আগে তো মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ধুমল।
বীরভদ্র সিংহ: হ্যাঁ ছিলেন। কিন্ত, এ বার অবস্থা এমন খারাপ যে, তড়িঘড়ি ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করতে হল বিজেপিকে। তা-ও আবার শেষ মুহূর্তে।
• আরকি থেকে জিতবেন আপনি?
বীরভদ্র সিংহ: এখানকার মানুষ একটা কথা বলে, জানেন! হিমাচলের যেখান থেকেই আমি দাঁড়াই না কেন, ‘রাজাসাব জিতবেই’। আর এ রাজ্যে মানুষ কংগ্রেসকেই চেনে। অন্য সব দল এখানে যাযাবর।। ঘোরাফেরাই কাজ হবে। কাজের কাজ কিছু হবে না। কাজেই শুধু আরকি নয়, গোটা হিমাচলেই কংগ্রেস জিতবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy