চলছে সেনা টহল। ছবি: পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেনার গুলিতে খতম দুই শীর্ষ লস্কর জঙ্গি। এর মধ্যে রয়েছে লস্কর কম্যান্ডার বশির লস্করি। অন্য জঙ্গির নাম আজাদ মালিক। সেনা-জঙ্গি গুলিযুদ্ধের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্থানীয় এক মহিলা-সহ দু’জনের। আহত দশ স্থানীয় বাসিন্দা।
অনন্তনাগের বাটপোরা গ্রামে একটি বাড়িতে দুই লস্কর জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে শনিবার সকালে খবর পায় সেনাবাহিনী। ওই বাড়িতেই ১৭ জনকে বন্দি করে রেখেছিল তারা। এর পরেই সকাল ছ’টা থেকে গোটা এলাকা ঘিরে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। প্রথমে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন জওয়ানরাও। প্রায় সাত ঘণ্টা চলে গুলির লড়াই। তাতেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়।
সেনা সূত্রে খবর, সব বন্দিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে তাহিরা নামের এক মহিলা আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের
অভিযানের সময় এলাকার সব স্কুল, কলেজ, দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। এমনকী মোবাইল পরিষেবাও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি এসপি ভাইড জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষ বাধে জওয়ানদের।
দিন কয়েক আগে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার হামলায় বারামুলায় সাব ইনস্পেক্টর ফিরোজ আহমেদ ডর-সহ ছয় পুলিশ কর্মী প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সে দিনের হামলাকারীদের মধ্যে ছিল এই দুই জঙ্গি। লস্কর কম্যান্ডার বাশির লস্করি সেই হামলার ছক করেছিল। বেশ কিছু দিন ধরেই নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে ছিল এই লস্কর কম্যান্ডার। তাকে খুঁজে দেওয়ার জন্য দশ লাখ টাকা পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করা করেছিল সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy