ভারত সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র
দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য না করায় নিজের দেশে সমালোচিত হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী নভেম্বরে আমেরিকার ভোটে ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স একে ‘মানবাধিকারের প্রশ্নে ট্রাম্পের নেতৃত্বের ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরেছেন। ভারত থেকে ফিরেও অবশ্য নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প। তবে এক কদম এগিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ আজ স্যান্ডার্সেরই সমালোচনা করে বসেছেন। বিতর্ক শুরু হতেই টুইটটি মুছে দেন বিজেপি নেতা।
ভারত সফরের সময়েই গোষ্ঠী সংঘর্ষের একের পর এক ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল ট্রাম্পকে। জবাবে তিনি জানান, ঘটনাগুলির কথা শুনলেও এ নিয়ে মোদীর সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। কারণ, ‘বিষয়টি ভারতের উপরেই নির্ভর করছে’। এই সূত্রেই স্যান্ডার্স আজ টুইট করেন, ‘‘২০ কোটি মুসলিম ভারতকে নিজেদের ঘর মনে করে। অথচ মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হামলার জেরে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা অনেক। ট্রাম্প বলছেন, এটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার। এই বক্তব্য মানবাধিকারের প্রশ্নে ট্রাম্পের নেতৃত্বের ব্যর্থতা।’’
আজই রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস দিল্লিতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর সচিব জানিয়েছেন, হিংসার জেরে দিল্লিতে ৩৮ জনের নিহত হওয়ার ঘটনায় তিনি ব্যথিত। দেশে ফিরে ট্রাম্প হিংসা নিয়ে কথা বলেননি। বরং বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী দারুণ মানুষ, অসাধারণ নেতা। আর ভারত একটা আশ্চর্য দেশ।’’ জানিয়েছেন, ভারতের আতিথেয়তায় তিনি মুগ্ধ। দু’দেশের সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক অসাধারণ। ট্রাম্প বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে অনেক ব্যবসা করতে চলেছি আমরা।’’
আমেরিকার ভোটের আগে ট্রাম্পের সমালোচনা হতে দেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েন বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা বিএল সন্তোষ। স্যান্ডার্সকে আক্রমণ করে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘আমরা যতই নিরপেক্ষ থাকতে চাই না কেন, আপনারা প্রেসিডেন্টের ভোটে আমাদের ভূমিকা নিতে বাধ্য করছেন। এটা বলার জন্য দুঃখিত। কিন্তু আপনারা আমাদের বাধ্য করছেন।’’ আমেরিকার ভোটে রাশিয়ার নাক গলানোর অভিযোগ রয়েছে। নমস্তে ট্রাম্প অনুষ্ঠানের পিছনে ভোটের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তি তুলে ধরার অভিযোগ এনেছেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতা সন্তোষ যে ভাবে সরাসরি আমেরিকার ভোটে নাক গলানোর কথা তুলে ধরলেন, তাতে রাজনৈতিক স্তরে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্কের আঁচ পেয়েই টুইটটি মুছে দেন বিজেপি নেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy