গতকালই তাঁর কন্ঠে শোনা গিয়েছিল উদার নৈতিকতার সুর। সংগঠনের বজ্র আঁটুনির বাইরে এসে নিজের মতামত কিছুটা হলেও প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন আরএসএস নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবালে। কিন্তু দলের চোখরাঙানির সামনে পড়ে নিজেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হলেন। বুধবার সমকামিতা কোনও অপরাধ নয় বলার পরেও কার্যত ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বিষয়টিকে ‘মানসিক রোগ’-এর তকমা দেওয়ায় এমন সম্ভাবনাই প্রবল হচ্ছে।
দলের চাপেই এমনটা করেছেন দত্তাত্রেয়, মনে করছেন ‘এলজিবিটি’ সংগঠনের সদস্যরাও। ‘‘আমি ভেবেছিলাম, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে একটা মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এখন তো দেখছি, এটা একটা সার্কাস চলছে। যদি সত্যিই সদিচ্ছা থাকে আর আমরা গণতন্ত্রের পূজারী হই, তা হলে সকলে একসঙ্গে বসে এই সমস্যার সুরাহা করা উচিত।’’ এমনটাই বলছিলেন ‘এলজিবিটি’ সংগঠনের সদস্য মিনাক্ষী সান্যাল। তাঁর কথায়: ‘‘যাঁরা ৩৭৭ এনেছিলেন তাঁরা নিজেদের দেশে সমকামিতাকে মান্যতা দিতে পারে আর আমরা এখনও মান্ধাতার আমলে পড়ে রয়েছি।’’
আরও খবর- অমিত-মেহবুবা কথাতেও জট কাটল না কাশ্মীরের
দু’দিন আগেই দত্তাত্রেয় বলেছিলেন, ‘‘যৌন পছন্দ যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। আরএসএস কারও ব্যক্তিগত বিষয়ে মোটেই নাক গলায় না।’’ কিন্তু সেই মন্তব্য বেমালুম গিলে ফেলে ফের আরএসএস-এর সুরে সুর মিলিয়ে সমকামিতাকে ‘মানসিক রোগ’-এর তকমা দিতেও দ্বিধা করলেন না।
‘এলজিবিটি’ সংগঠনের আর এক সদস্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক দেবলীনা বলেন, ‘‘দলের চাপে আমূল বদলে যাওয়াটা রাজনৈতিক নেতাদের কাছে নতুন কিছু নয়। ব্যক্তিমানুষ হিসাবে তিনি হয়তো কিছু বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই ধরনের সংগঠনের মধ্য থেকে কখনওই স্বাধীন ভাবে কিছু বলা যায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy