প্রতীকী ছবি
স্বাধীনতা দিবসের পরেই করোনার সঙ্গে যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মুখ দেখল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ১৫ অগস্ট থেকেই দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা একটানা কমেছে। ৬৫ হাজার, ৬৩ হাজার, ৫৭ হাজার থেকে কমে আজ তা ৫৫ হাজারের ঘরে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিতের (৫৫,০৭৯) চেয়ে সুস্থের (৫৭,৯৩৭) সংখ্যা বেশি। সারা দেশে কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ, যে সংখ্যাটা মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার ২.৯৩ গুণ। দৈনিক সুস্থের গড় এখন ৫৫ হাজারের বেশি। কেন্দ্র জানিয়েছে, এখন মোট সংক্রমিতের মাত্র ২৫ শতাংশ অ্যাক্টিভ রোগী। ক্রমাগত পরীক্ষার ফলে সংক্রমণের হার ১০.০৩ শতাংশ থেকে ৭.৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। কমেছে মৃত্যুও।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ লেখচিত্র-সহ করোনার সংক্রমণের গতিপ্রকৃতি ব্যাখ্যা করে জানান, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দেশে সুস্থতার হার ছিল ৭.৩৫ শতাংশ, যা এখন ৭৩.১৮ শতাংশে পৌঁছেছে। লেখচিত্রে তিনি দেখান, জুলাইয়ের ৮ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১০.০৩ শতাংশ। ১২ থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে তা-ই ৭.৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। আজ পর্যন্ত সারা দেশে ৩ কোটিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৮,৯৯,৮৬৪টি পরীক্ষা হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘‘রোজ ৭-৮ লক্ষ পরীক্ষা সত্ত্বেও সংক্রমণের হার কমে যাচ্ছে। এটি ইতিবাচক দিক।’’
আরও পড়ুন: হোম বন্ধ করতে গিয়ে হেনস্থা এড্স রোগীদের
কমেছে কোভিডে মৃত্যুহারও। স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘‘সাপ্তাহিক গড়ের নিরিখে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মৃত্যুহার ছিল ২.৮৯ শতাংশ। এখন সাপ্তাহিক গড় ১.৯৪ শতাংশে নেমে এসেছে। দৈনিক মৃত্যুহার নেমেছে ১.৯২ শতাংশে। তাকে ১ শতাংশ বা তারও নীচে নামিয়ে আনাটা আমাদের লক্ষ্য।’’ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে বৈঠকেও এই লক্ষ্যমাত্রায় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বারবার জোর দিয়েছে বলে জানান তিনি।
সেই কারণেই পরীক্ষার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ানো হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে যেখানে ২.৩০ লক্ষ পরীক্ষা হত, সেখানে এখন সংখ্যাটা ৯ লক্ষ ছুঁইছুঁই করছে। স্বাস্থ্যসচিব জানান, আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে এত বেশি পরীক্ষার ফলই প্রতিফলিত হচ্ছে আশাব্যঞ্জক পরিসংখ্যানে। দ্রুত সংক্রমণ ধরা পড়ায় চিকিৎসা শুরু করতেও বিলম্ব হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশি সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। আজ থেকে আবার সেই ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
আশার আলো
নতুন সংক্রমণ
তারিখ (শেষ ২৪ ঘণ্টায়) মৃত
• ১৩ অগস্ট ৬৬,৯৯৯ ৯৪২
• ১৪ অগস্ট ৬৪,৫৫৩ ১০০৭
• ১৫ অগস্ট ৬৫,০০২ ৯৯৬
• ১৬ অগস্ট ৬৩,৪৯০ ৯৪৪
• ১৭ অগস্ট ৫৭,৯৮১ ৯৪১
• ১৮ অগস্ট ৫৫,০৭৯ ৮৭৬
সপ্তাহ সংক্রমণের হার মৃত্যুর হার
• ১৫ জুলাই-২১ জুলাই ৯.১৯% ২.৫২%
• ২২ জুলাই-২৮ জুলাই ৯.০৩% ২.৩৪%
• ২৯ জুলাই-৪ অগস্ট ১০.৯৪% ২.১৬%
• ৫ অগস্ট-১১ অগস্ট ৯.৫২% ২.০৪%
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy