ভূত তাড়াতে আগুনের উপর উল্টো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে সব করতে গিয়েই দৃষ্টিশক্তি হারাল ছ’মাসের এক শিশু। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত তান্ত্রিক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ মার্চ কোলারাস থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এলাকার ছ’মাস বয়সের এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার বাবা-মা তাকে ‘চিকিৎসা’ করানোর জন্য স্থানীয় তান্ত্রিক রঘুবীর ধাকাড়ের বাড়িতে নিয়ে যান। রঘুবীর তাঁদের জানান, শিশুটির উপর অশুভ আত্মা ভর করেছে। শুরু হয় ‘ভূত তাড়ানো’। শিশুটিকে আগুনের উপর উল্টো করে ঝুলিয়ে দেন তান্ত্রিক। আগুনের তাপে শিশুটি কাঁদছিল। কিন্তু তার বাবা-মা তান্ত্রিককে বাধা দেননি। তাঁরা ভেবেছিলেন, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করালে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে তাঁদের ছেলে। কিন্তু তা তো হয়ইনি, উল্টে আগুনের তাপে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুটির চোখ। এর পরেই ছেলেকে নিয়ে তড়িঘড়ি শিবপুরী জেলা হাসপাতালে ছোটেন বাবা-মা। তখনই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, এ ভাবে আগুনের উপর ঝুলিয়ে রাখার কারণে শিশুটির চোখ গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার দৃষ্টিশক্তি আদৌ ফিরবে কি না, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা। শিবপুরী জেলা হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ গিরিশ চতুর্বেদী বলছেন, ‘‘শিশুটির চোখ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত সে আইসিইউতে ভর্তি। ৭২ ঘণ্টার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।’’ অন্য দিকে, পুলিশ সুপার আমান সিংহ রাঠোড় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত রঘুবীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই গা-ঢাকা দিয়েছেন তান্ত্রিক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।