উত্তরপ্রদেশের একটি নদী থেকে উদ্ধার হল ১৬ বছরের এক কিশোরের বস্তাবন্দি টুকরো টুকরো করে কাটা দেহ! পুলিশের অনুমান, অন্তত তিন-চার দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। সে জন্য পচেগলে যাওয়া দেহটি শনাক্ত করতে বেগ পেতে হচ্ছিল তদন্তকারীদের। শেষমেশ কিশোরের হাতে থাকা ট্যাটুর সূত্র ধরে তার পরিচয় জানা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের নিউরিয়া থানা এলাকায় এক নদী থেকে ১৬ বছর বয়সি ওই কিশোরের টুকরো টুকরো করে কাটা দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি একটি বস্তায় ভরা ছিল। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ডুবুরিদের সহায়তায় মৃতদেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বেশ কয়েক দিনের পুরনো হওয়ায় দেহটি শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। শেষমেশ মৃতের হাতে থাকা একটি ট্যাটুর সূত্র ধরে দেহটি শনাক্ত করা হয়। শনিবার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহত কিশোরের নাম পুরনলাল ওরফে সাগর। ওই কিশোর বিথরা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘মৃতের হাতে থাকা ট্যাটু দেখে সাগরকে শনাক্ত করা হয়েছে। সাগরের মা ইন্দ্রাবতী জানিয়েছেন, গত ১০ মার্চ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তার পর থেকে তার ফোন বন্ধ ছিল। দু’দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর পরিবারের তরফে থানায় সাগরের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়।’’
আরও পড়ুন:
খুনের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা শুভম বাল্মীকির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে সাগরের পরিবার। তাদের দাবি, শুভম এক সপ্তাহ আগে সাগরকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সাগরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সুপার অবিনাশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই চারটি দল গঠন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শুভম এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।