প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের মোকাবিলায় অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির উচ্চপদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দফতরের আধিকারিকেরা। বৈঠকে তাঁকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশ জুড়ে ১,৫০০টি ‘প্রেশার সুইং অ্যাডসর্পশন’ (পিএসএ) মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়া হচ্ছে। পিএসএ প্ল্যান্ট বসানো হাসপাতালগুলিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহের সুবিধাযুক্ত ৪ লক্ষ শয্যা।
ওই বৈঠকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রাজ্যওয়াড়ি অক্সিজেনের চাহিদা সম্পর্কেও অবহিত করা হয় প্রধানমন্ত্রীকে। অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলিকে দ্রুত কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত কর্মীর সংস্থান করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে জানানো হয়েছে, দেশ জুড়ে মোট ৮,০০০ জনকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্ল্যান্টগুলির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ‘ইন্টারনেট অফ থিঙ্কস’-এর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সংক্রান্ত ‘পাইলট প্রজেক্ট’-এর অগ্রগতি সম্পর্কেও তিনি খোঁজ নিয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হিমশিম খেয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলি। যে কোভিড রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাঁদের চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। কিন্তু সে সময় হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মজুত থাকা অক্সিজেনও অনেক হাসপাতালে ফুরিয়ে গিয়েছিল অভিযোগ। অক্সিজেনের অভাবে বিভিন্ন রাজ্যে বহু রোগীর মৃত্যুর অভিযোগও সামনে এসেছিল। সেই পরিস্থিতিতেই দেশের প্রত্যন্ত এলাকা-সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ‘পিএম কেয়ার ফান্ড’ কাজে লাগিয়ে অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বৈঠকে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মোকাবিলায় ২৩,১২৩ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। নয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, ওই টাকায় দেশের ৭৩৬টি টি জেলায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে শিশু চিকিৎসা বিভাগ গড়া হবে। ব্যবস্থা হবে ২০ হাজার আইসিইউ শয্যার। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুত রাখা হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। তাই এই সক্রিয়তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy