Advertisement
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
Karnataka High Court

সম্পর্কে সম্মতি থাকলেই হেনস্থার লাইসেন্স পাওয়া যায় না, ধর্ষণের অভিযোগ খারিজের পর বলল কোর্ট

পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন মহিলা। তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতির সাপেক্ষেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাই ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করেছে আদালত।

পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করেছে কর্নাটক হাই কোর্ট।

পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করেছে কর্নাটক হাই কোর্ট। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৪
Share: Save:

সম্পর্কে উভয় পক্ষের সম্মতি রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এক জন অপর জনকে যখন ইচ্ছা হেনস্থা করতে পারবেন। সম্পর্কের সম্মতি হেনস্থার লাইসেন্স দিয়ে দেয় না। একটি মামলায় এমনটাই মন্তব্য করল কর্নাটক হাই কোর্ট। এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মহিলা। তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতির সাপেক্ষেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই কারণে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তবে সেই সঙ্গে হেনস্থা সংক্রান্ত ওই মন্তব্যও করেছে।

মামলাকারী এক পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে অন্য এক পুলিশ আধিকারিকের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে হেনস্থা, ধর্ষণ এমনকি খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। ২০১৭ সালে তাঁদের আলাপ হয়েছিল। ২০২১ সালে অভিযোগ দায়েরের পর ওই মহিলাকে ভয় দেখানো এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মহিলাকে চাপ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে হোটেলে ডেকে আবার ধর্ষণ করা হয় বলে আদালতে জানিয়েছেন মহিলা। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়।

আদালতে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক জানান, তিনি নির্দোষ। তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, ফলে ধর্ষণের প্রশ্নই ওঠে না। যা ঘটেছে, উভয়ের সম্মতিতেই ঘটেছে বলে আদালতে দাবি করেন অভিযুক্ত।

কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্ন উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁদের সম্পর্ক যে সম্মতিপূর্ণ ছিল, তা মেনে নিয়েছেন। ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি। কিন্তু হেনস্থার অন্য অভিযোগগুলি তিনি বহাল রেখেছেন এবং তদন্তপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সম্পর্কে উভয়েরই সম্মতি ছিল। কিন্তু অভিযুক্তের কিছু কিছু আচরণে মামলাকারীর সম্মতি ছিল না। তিনি সম্পর্কে সম্মতি দিয়েছেন মানেই যখন ইচ্ছা হেনস্থার লাইসেন্সও দিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি তেমন নয়। সম্মতিপূর্ণ সম্পর্কেও যা খুশি করা যায় না।

অন্য বিষয়গুলি:

Karnataka High Court Consensual Sex Sexual Assault Sexual Assaults
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy