কংগ্রেসি বিধায়কদের কোন্দল শেষ পর্যন্ত গড়াল আদালতে। দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিনকে আদালতে হাজির থাকার জন্য আজই সমন পাঠানোর নির্দেশ দেন করিমগঞ্জের এসিজেএম শাহ সৈয়দ আহাদুর রহমান। আগামী ২ জুলাই জামালউদ্দিনকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে করিমগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী ললিতমোহন শুক্লবৈদ্যর সঙ্গে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমদের সংঘাত চরম আকার ধারণ করে। ললিতমোহন শুক্লবৈদ্য কংগ্রেস প্রার্থী হন, তা কিছুতেই চাননি সিদ্দেক। অন্য দিকে, শুক্লবৈদ্য করিমগঞ্জের দু’বারের সাংসদ থাকার পাশাপাশি গৌতম রায়ের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। বদরপুরের বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমদও সেই সময় গৌতম রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। অসমের একটি টিভি চ্যানেলে বিধায়ক জামালউদ্দিন সিদ্দেক প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, সিদ্দেক আহমদ বদরপুরে এলে তাঁকে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেবেন। সেই বক্তব্য ঘিরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। সিদ্দেকের ঘনিষ্ঠ জনৈক ফয়জুর রহমান বদরপুর থানায় জামালউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় করিমগঞ্জের এসিজেএম সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলের সম্পাদককে তথ্য-প্রমাণ-সহ আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিধায়ক সিদ্দেক আহমদকেও তলব করেছিল আদালত। আজ টিভি চ্যানেলের প্রশাসনিক আধিকারিক বিনীত চালিহা আদালতে হাজির থেকে জামালউদ্দিনের বক্তব্যের সিডি জমা দেন। এর পরেই আদালত ২ জুলাই বদরপুরের বিধায়ককে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়। সরকারি কৌঁসুলি পরিতোষ দেব জানান, বিধায়ক জামালউদ্দিন আহমদ যাতে নির্দিষ্ট দিনে আদালতে হাজির থাকেন, সে কারণে বিধানসভা অধ্যক্ষের কাছেও নির্দেশের প্রতিলিপি পাঠিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy