সনিয়া গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখে বিরোধীদের সঙ্গে ঐকমত্যের কথা বললেও কার্যক্ষেত্রে সেই প্রচেষ্টা নেই বলে অভিযোগ কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধীর। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সংঘাতের নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করছেন।’’
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘নিট দুর্নীতি’র অভিযোগ নিয়ে আলোচনার দাবি তোলায় শুক্রবার লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের মাইক বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। তারই প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী।
সোমবার নতুন লোকসভার প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, দেশ চালাতে ঐকমত্য জরুরি। তাই তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান। কিন্তু তার পরেই স্পিকার নির্বাচন নিয়ে শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। এমনকি, দীর্ঘ দিনের সংসদীয় রীতি ভেঙে লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদটিও নিজেদের হাতে রাখার বার্তা দিয়েছে ক্ষমতাসীন এনডিএ। এই আবহে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন সনিয়া।
‘নিট দুর্নীতি’র পাশাপাশি মণিপুরে গত এক বছর ধরে চলা হিংসা নিয়েও সংসদে মোদী সরকার আলোচনা করতে দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী। ‘দ্য হিন্দু’ সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘স্পিকার নির্বাচন নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ স্পষ্ট ভাষায় সরকার পক্ষকে জানিয়েছিল তাদের প্রার্থীকে সমর্থন দিতে কোনও আপত্তি নেই। পাশাপাশি, সংসদীয় প্রথা মেনে বিরোধীদের ডেপুটি স্পিকার পদটি ছাড়ার কথা আমরা বলেছিলাম। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে, মুখে ঐকমত্যের কথা বলে তারা সংঘাতের পথেই হাঁটতে চায়।’’
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে মোদীর ‘রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং নৈতিক পরাজয় হয়েছে’ বলেও দাবি করেন সোনিয়া। বলেন, ‘‘বিদ্বেষ, মেরুকরণ এবং বিভাজনের রাজনীতি মানুষ খারিজ করেছে।’’ কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাজ্যসভার নেতা খড়্গে শনিবার সনিয়ার ওই সাক্ষাৎকার এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন। সনিয়ার মন্তব্য উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘‘ঐকমত্যের প্রচার, সংঘাতে উস্কানি। ভোটের ফল দেখার পর প্রধানমন্ত্রী যে বার্তা দিয়েছিলেন, তা অনুসরণের কোনও প্রমাণ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy