অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার সময়ে গ্রেফতারির কারণ জানানো বাধ্যতামূলক। গ্রেফতারির কারণ উল্লেখ না-করলে অভিযুক্তকে জামিনের নির্দেশও দেওয়া যেতে পারে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে ইলহাবাদ হাই কোর্ট। হাই কোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র ত্রিপাঠি এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সংবিধানের ২২(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে গ্রেফতারির সময়ে কারণ জানানো বাধ্যতামূলক। কখনও এই অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন হলে আদালতের পদক্ষেপ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে যদি জামিনের ক্ষেত্রে কোনও বিধিবদ্ধ বাধাও থাকে, তা-ও জামিন মিলতে পারে অভিযুক্তের।
হাই কোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে, সে বিষয়ে তথ্যগুলি অভিযুক্তের বোধগম্য ভাষায় সঠিক ভাবে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে গ্রেফতারির কারণ সম্পর্কে অবগত থাকেন তিনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মনজিৎ সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ভয় দেখানো, শান্তি ভঙ্গ-সহ বিভিন্ন ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছিল। পরে অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু অভিযুক্তের দাবি, কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও তথ্যই তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন:
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-এর ৪৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কাউকে গ্রেফতারের সময় গ্রেফতারির কারণ জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। যে ‘অ্যারেস্ট মেমো’ দেওয়া হয়েছে, সেখানেও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, “যখন সংবিধানের ২২(১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন হয়, তখন আদালতের কর্তব্য অবিলম্বে অভিযুক্তকে মুক্তির আদেশ দেওয়া। এ ক্ষেত্রে জামিন মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে কোনও বিধিবদ্ধ বাধা থাকলেও, জামিন মঞ্জুর করা যেতে পারে।”