দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার পর আত্মহত্যা করে ওই কিশোর। —প্রতীকী ছবি
ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় এক মাস পর গ্রেফতার হলেন তারই স্কুলের এক শিক্ষিকা। অভিযোগ, ওই ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। শুধু তাই নয়, সম্পর্ক শেষ করে দেওয়ার কারণেই ১৭ বছরের ওই কিশোর আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ।
প্রায় এক মাস আগে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার পর আত্মহত্যা করে ওই কিশোর। তাঁর মায়ের মনে সন্দেহ হয়। এর পর কিশোরের মোবাইল ঘেঁটে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে বেশ কিছু ছবি হাতে আসে পুলিশের। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় ওই শিক্ষিকাকে।
ধৃত শিক্ষিকা আম্বাত্তুরের একটি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে পড়াতেন। তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে স্কুলটি। সেই স্কুলেই পড়ত আত্মঘাতী কিশোর। গত তিন বছর ধরে তাকে পড়াতেন ওই শিক্ষিকা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোর প্রায়ই সহপাঠীদের সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে পড়া বুঝতে যেত।
আম্বাত্তুরের মহিলা থানার আধিকারিক জ্যোতিলক্ষ্মী বলেন, ‘‘বাগ্দানের পর কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দেন ওই শিক্ষিকা। ছেলেটি মেনে নিতে পারেনি। সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিল সে।’’
শিশুদের যৌন হেনস্থা নিয়ে কাজ করে, এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিদ্যা রেড্ডি পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এ ভাবেই লিঙ্গ বিচার না করে নাবালক-নাবালিকাদের যৌন হেনস্থাকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত। চলতি সপ্তাহে তামিলনাড়ুতেই ২০ বছরের এক সন্তানসম্ভবা কিশোরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজের নাবালক সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy